________________
নিজদোষ দর্শনের সাধন - প্রতিক্ৰমণ
| ক্রমণ-অতিক্ৰমণ-প্রতিক্ৰমণ। সংসারে যা কিছু হচ্ছে তা ক্রমণ। যতক্ষণ সহজ স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে। ততক্ষণ ক্রমণ কিন্তু বেশি হলে তা অতিক্ৰমণ (অর্থাৎ মন-বচন-কায়া দিয়ে কোন জীবকে আঘাত দেওয়া)। যার প্রতি অতিক্রমণ হয়েছে তার থেকে যদি মুক্ত হতে হয় তাে প্রতিক্রমণ করতে হবে মানে ধুতে হবে - তবেই পরিষ্কার হবে। পূর্বজন্মে যদি ভাব করে থাকেন যে “অমুক লােক-কে চার ঘুষি মারতে হবে’ তাহলে তা যখন এ জন্মে কাজে পরিণত হবে সেটা হল অতিক্রমণ। তখন তার প্রতিক্ৰমণ করতে হবে। যার প্রতি অতিক্রমণ হয়েছে তার ভিতরে থাকা শুদ্ধাত্মা-কে স্মরণ করে, তাকে সাক্ষী রেখে প্রতিক্ৰমণ করতে হবে। | কোন খারাপ ব্যবহার হলে তাকে অতিক্রমণ হলে, কোন খারাপ চিন্তা এলে তাকে দাগ বলে - মনের মধ্যে কঁটার মত বিঁধতে থাকে। তা ধােওয়ার জন্যেও প্রতিক্ৰমণ জরুরী। প্রতিক্ৰমণ করলে আপনার প্রতি অন্যের (যার প্রতিক্ৰমণ করা হচ্ছে তার) ভাবও বদলে যাবে। নিজের ভাব তাে ভাল হবেই - অন্যের ভাবও ভাল হবে। প্রতিক্ৰমন-এ এত শক্তি আছে যে বাঘও কুকুরের মত ব্যবহার করবে। প্রতিক্ৰমণ কখন কাজে আসবে? যখন কোন বিপরীত পরিনাম আসে তখন-ই প্রতিক্ৰমণ কাজে আসে।
| প্রতিক্ৰমণ - যথার্থভাবে বােঝা | প্রতিক্ৰমণ কি? কেউ যদি আমাকে অপমান করে তাে আমার চিন্তা করা। উচিৎ এই তাপমানের জন্যে দোষী কে? যে অপমান করছে সে দোষী না যাকে অপমান করছে সেই দোষী - এটা আগে ঠিক করতে হবে। যে অপমান করছে সে বিন্দুমাত্র দোষী নয় - সে নিমিত্তমাত্র। নিজের কর্মের উদয় হলে তখন এরকম নিমিত্ত পাওয়া যায়। মানে এটা নিজেরই কর্মের ফল। যে অপমান করেছে তার প্রতি যদি মনে নকারাত্মক বিচার আসে যে এর এরকমই স্বভাব, এর কাজ-ই সবাইকে অপমান করা ইত্যাদি তাে তাহলে প্রতিক্ৰমণ করতে হবে, যদি কেউ গালাগালি করে তাহলেও সেটা যাকে গালি দিয়েছে তার-ই
| [ ৪৭ ]