________________
ঘােরে চলছে। দোষ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে কিনা তার চিন্তা করার দরকার নেই, মুখ্য প্রয়ােজন তাে জাগৃতি-র। জাগৃতি হওয়ার পর আর নতুন দোষ হয় না; আর পুরাতন দোষসমূহ আস্তে আস্তে দূর হয়। আমাদের দেখতে হবে ওই দোষগুলাে কিভাবে হয়েছিল।
| যত দোষ, তত প্রতিক্ৰমন দরকার অনন্ত দোষে দোষী, তাই ততটাই প্রতিক্রমন করতে হবে। যত দোষ ভরে এনেছেন সব আপনি দেখতে পাবেন। জ্ঞানীপুরুষ’ জ্ঞান দেওয়ার পর দোষ দেখা যায় নয়তাে নিজের দোষ নিজে দেখা যায় না - এরই নাম অজ্ঞানতা।। নিজের একটাও দোষ দেখা যায় না অথচ অন্যের দোষ অসংখ্য দেখা যায়। একেই বলে মিথ্যাদৃষ্টি।
| দৃষ্টি রাখ নিজদোষের প্রতি এই জ্ঞান নেওয়ার পর ভিতরে খারাপ চিন্তা এলে তাকে দেখবে, ভালাে চিন্তা এলে তাকেও দেখবে। ভালাে-র প্রতি রাগ (অনুরাগ) নয়, আর খারাপের প্রতি দ্বেষও নয়। ভালাে-খারাপ বিচার করার আমার প্রয়ােজন নেই কারণ নিজের সত্তাই নিজের বশীভূত নয়। জ্ঞানী তাহলে কি দেখেন? সমস্ত জগৎকে নির্দোষ দেখেন। কারণ এ সমস্তই নির্গত হচ্ছে গলন রূপে (ডিস্টার্জ) - এতে ওই বেচারার কি দোষ ? আপনাকে কেউ গালি দিলে সেটা ডিস্টার্জ; আবার উপরওয়ালা আধিকারিক (বস্) আপনাকে দুঃশ্চিন্তায় ফেলে তাে সে-ও ডিস্টার্জ। বস্ তাে নিমিত্ত মাত্র; জগতে কারাের কোন দোষ নেই। দোষ | দেখলে সেটা নিজেরই ভুল আর এই ভুল থেকেই জগৎ সংসারের সংরক্ষণ।। দোয দেখলে অন্যের সাথে শত্রতা হয়ে যায়।
[ ২৬ ]