________________
থেকেই জানি। এরকম বললে ব্যাট মিটে যাবে। আর ও আমার কাছে আক্কেল খুঁজতে আসবে না।
পত্নীর সাথে মানিয়ে চলা (এজাস্টমেন্ট) কোন কারণে যদি দেরি হয়ে যায় আর স্ত্রী রাগারাগি করে বলে, এত দেরি করে এলে ? এরকম হলে আমার চলবে না। আরও অনেক কিছু যদি ক্রোধবশতঃ বলে তাে বলবেন, হ্যা, তােমার কথাই ঠিক। এখন চলে যেতে বললে চলে যাচ্ছি, আর যদি ভিতরে আসতে বলাে তাে ভিতরে এসে বসছি। তখন সে যদি বলে, না, যেতে হবে না, এখানে এসে চুপচাপ শুয়ে পড়াে। তাহলে আবার জিজ্ঞাসা করাে, তুমি বললে খাই, না হলে শুয়ে পড়ি। যদি বলে যে না, খেয়ে নাও তাহলে ওর কথা শুনে আপনার খেয়ে নেওয়া উচিৎ, অর্থাৎ মানিয়ে নেওয়া গেল। পরদিন সকালে সুন্দর চা পাবে আর যদি ধমক দাও তাহলে সকালের চা রাগের সাথে গম্ভীর মুখে দেবে। তিনদিন ধরে এটাই চলতে থাকবে।
আহারে মানিয়ে নেওয়া ব্যবহারে সম্পূর্ণ হয়েছে তখনই বলা যাবে যখন সর্বত্র মানিয়ে চলা যাবে। এখন প্রগতির সময় এসেছে, এইজন্যে মতভেদ হতে দেবেন না। এই কারণেই আমি লােকেদের সূত্র দিয়েছি, ‘এড়ডাস্ট এভরিহােয়্যার’-সর্বত্র মানিয়ে চলুন। কী (এক প্রকার ব্যঞ্জন) বেশী নােনতা হয়ে গেলে মনে রাখবে দাদাজী মানিয়ে চলতে বলেছেন; অল্প হলেও খেয়ে নেবে। আচারের কথা মনে এলে কিছুটা চেয়ে নাও। কিন্তু ঝগড়া নয়, ঘরে যেন ঝগড়া না হয়। নিজে যদি কখনাে ঝামেলায় পড়ে যান তাে সেখানে নিজেই মানিয়ে নেবেন-তবেই সংসার সুন্দর মনে হবে।।
অপছন্দ হলেও মানিয়ে নাও নিয়ে না চলার মানসিকতা (ডিসঅ্যাডজাস্ট) নিয়ে যারাই আপনার জীবনে আসবে আপনি তাদের সাথে মানিয়ে নিন (অ্যাডজাস্ট)। প্রতিদিনের জীবনে যদি শাশুড়ী - বৌমা, বড়বৌ - ছােটবৌ-এর মধ্যে ঝগড়া-অশান্তি থাকে তাে এই সংসারচক্র থেকে মুক্তি পাওয়ার ইচ্ছা যার আছে তাকেই মানিয়ে নিতে হবে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি কেউ একজন সম্পর্কে ভাঙন ধরায় তাহলে অন্যজনকে তা মেরামত করতে হবে যাতে সম্পর্ক আর শান্তি দুই-ই
[ ২৮ ]