________________
সমস্ত জগৎ কষ্ট যে দিয়েছে সেই নিমিত্তকে দোষী দেখে। কষ্ট পাচ্ছে নিজে অথচ দোষী করছে নিমিত্তকে। এতে তাে নিজের ভুল দ্বিগুন হয়ে যায় আর সমস্যাও বেড়ে যায়। এই কথাটা বুঝলে সমস্যা কমবে।
জগতের নিয়ম এই যে যা চোখে দেখা যায় তাকে ভুল ভাবে। কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম হল যে কষ্ট পাচ্ছে ভুল তারই।
কাউকে বিন্দুমাত্র দুঃখ যদি কেউ না দেয় আর কারাের কাছ থেকে দুঃখ পেলে সেটা জমা করে নেয় (কোন দোষারােপ না করে মেনে নেয়) তাহলে তার সেই খাতার হিসাব পুরাে হয়ে যাবে। কাউকে নতুন করে কিছু না দেওয়া, নতুন ব্যবসা শুরু না করা আর যা পুরানাে আছে তা মিটিয়ে ফেলার অর্থ হিসাব পুরাে করা।
উপকারী, কর্ম থেকে যে মুক্তি দেওয়ায় জগতে কারাের কোন দোষ নেই; দোষ যারা খুঁজে বের করে তাদেরই দোষ। জগতে দোষী কেউ নয়। সবকিছুই নিজ নিজ কর্মের উদয় থেকে হয়। যে কষ্ট পাচ্ছে সে এই জন্মের কোন দোষের শাস্তি পাচ্ছে না; পূর্বজন্মের কর্মের ফলস্বরূপ সব কিছু ঘটছে। আজকে পশ্চাতাপ হলেও তাতে কিছু লাভ নেই কারণ একবার চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর হয়ে গেলে আর কিছু করার থাকে না। সম্পূর্ণ ভােগ করে শেষ করা ছাড়া অন্য কোন রাস্তা নেই। | শাশুড়ী বৌ-এর সাথে ঝগড়া করছে তবুও বৌ ভাল আছে আর শাশুড়ী কষ্ট পাচ্ছে, তাহলে বুঝতে হবে যে ভুল শাশুড়ীর। ভাদ্রবৌ-এর সাথে ঝগড়া করে ছােটবৌ যদি কষ্ট পাচ্ছে তাে বুঝতে হবে ছােট বৌয়েরই ভুল। আর ভাদ্রবৌ যদি কোন ঝগড়া-অশান্তি ছাড়াই ছােটবৌকে দুঃখ দেয় তাে বুঝতে হবে আগের জন্মের হিসেব যা দু’জনের বাকি ছিল তা এজন্মে পুরাে করলাে। এ জগতে হিসাব না থাকলে কারাের সাথে কারাের চোখাচোখি পর্যন্ত হবে
তাে আর সব কিছু বিনা হিসাবে কি করে হবে? আপনি যত কিছু যত জনকে দিয়েছেন তার সমস্তই ফেরৎ পাবেন – তখন খুশী হয়ে জমা করে নেবেন আর জানবেন এবার হিসাব পুরাে হল। কিন্তু জমা করতে ভুল করলে আবার কষ্ট পেতে হবে।
[[ ৪৪ ]