________________
যে কষ্ট পাচ্ছে ভুল তার
প্রকৃতির ন্যায়ালয়ে ... এই জগতে তাে অনেক ন্যায়াধীশ আছেন কিন্তু কর্মের জগতে প্রকৃতিই একমাত্র বিচারক এবং বিচারের বাণী – “যে কষ্ট পাচ্ছে তার ভুল। একমাত্র এই ন্যায় দ্বারাই সমগ্র ব্রহ্মান্ড নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। আর ভ্রান্তির ন্যায় থেকেই সমস্ত সংসার চলছে।
প্রকৃতির নিয়ম সর্বক্ষণ জগতকে পরিচালনা করছে। যারা পুরস্কারের যােগ্য তাদের পুরস্কার দেয় আর যারা শাস্তির যােগ্য তাদের শাস্তি দেয়। প্রকৃতিতে নিয়ম বহির্ভূত কোন কাজ হয় না। প্রকৃতির নিয়ম সম্পূর্ণ পক্ষপাতশূন্য কিন্তু মানুষ সেটা বুঝতে পারে না বলে মানতে পারে না। যখন কারাের মধ্যে শুদ্ধ বােধের উদয় হবে তখনই সে প্রকৃতির ন্যায়কে গ্রহণ করতে পারবে; যতক্ষণ পর্যন্ত স্বার্থ দৃষ্টি থাকবে ততক্ষণ প্রকৃতির ন্যায় বুঝতে পারবে না।
আপনি কেন কষ্ট পাচ্ছেন? আপনাকে কেন দুঃখ-কষ্ট ভােগ করতে হচ্ছে এটা খুঁজে বার করুন না। আমরা নিজেদের ভুলেই নিজেরা বাঁধা পড়েছি - কেউ আমাদের বাঁধেনি। এই ভ্রান্তি চলে গেলেই আমরা মুক্ত। বাস্তবে আমরা মুক্ত-ই কিন্তু ভ্রান্তির কারণে বন্ধনে আবদ্ধ।
জগতের আসল স্বরূপ, বাস্তবিকতা সম্পর্কে তাে লােকের কোন জ্ঞান নেই। যে জ্ঞানের কারণে সংসারে ঘুরে মরতে হয় সেই অ-জ্ঞান, সাংসারিক জ্ঞান-ই শুধু আছে। পকেটমার আপনার পকেট কেটে টাকা নিয়ে গেলে কি ভুল করে ? আপনার-ই পকেট কাটল অন্য কারাের কেন কাটল না ? দুজনের মধ্যে কে কষ্ট পাচ্ছে, পকেটমার না আপনি ? যে কষ্ট পাচ্ছে ভুল তার-ই।
| দুঃখ-কষ্ট নিজের ভুলের কারণে। | যে দুঃখ পায় সে তার ভুলের শাস্তি পায়, যে সুখ পায় সে পুরস্কার পায়। লৌকিক নিয়ম নিমিত্তকেই দোষী বলে ধরে। ভগবানের নিয়মে যার ভুল তাকেই ধরে আর সেটাই আসল কানুন। এই নিয়ম কেউ পরিবর্তন করতে পারে না, এটা একদম সঠিক। জগতে এমন কোন নিয়ম নেই যা কাউকে অকারণে দুঃখ-সুখ দিতে পারে। নিজের কোন দোষ থাকলে তবেই তাে লােকে বলবে। জগতে কোন জীব অন্য জীবকে কষ্ট দিতে পারে না। প্রত্যেকেই স্বতন্ত্র।
[ ৪২ ]