________________
আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। সামনের জন আপনাকে ধাক্কা দিয়েছে বলে যদি আপনিও তাকে ধাক্কা দেন তাে এটাই প্রমাণ হবে যে আপনিও অন্ধ। | আমাদের মানুষের প্রকৃতি চিনতে হবে। আপনি যদি আমাকে ধাক্কা দিতে আসেন তা হলেও আমি ধাক্কা লাগতে দেব না, সরে যাব; নয়তাে দুর্ঘটনা হবে আর দুজনেই আঘাত পাবে। কোন গাড়ির যদি দুর্ঘটনায় বাম্পার ভেঙে যায়। তাে ভিতরে বসে থাকা যাত্রীদের কি অবস্থা হবে? তাদের তাে চরম দুর্দশা হবে। এইজন্যে প্রকৃতিকে চিনতে হবে। ঘরে প্রত্যেকেরই প্রকৃতি ভিন্ন - তা বুঝে নিতে হবে।
সংঘাত কি রােজ রােজ হয়? যখন আপনার কর্মের উদয় হয় তখনই সংঘাত হয় এটা বুঝে সেই সময় মানিয়ে চলতে হবে। ঘরে যদি স্ত্রীর সাথে। ঝগড়া-অশান্তি হয়ে যায় তাহলে তার পরে তাকে বাইরে হােটেলে খাইয়ে খুশী করুন - সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী করবেন না।
খাবার থালায় যা আসবে খেয়ে নেবেন। যা সামনে আসে তা সংযােগ। ভগবান বলেছেন যে সংযােগকে ধাক্কা দিয়ে সরানাের চেষ্টা করবে সেই ধাক্কা তাকেই লাগবে। এইজন্যে তাপছন্দের জিনিস-ও যদি খাবার থালায় সে তাে তার থেকে অল্প কিছু হলেও আমি খেয়ে নিই। যে মানিয়ে নিতে পারে না তাকে মানুষ কি করে বলা যাবে? যে সংযােগাধীন হয়ে সব কিছু মানিয়ে নেয় তার ঘরে ঝগড়া-ঝঞ্ঝাট হবে না। সংযােগের লাভ নিতে গেলে মানিয়ে নিতে। শিখতে হবে। ঝগড়া-অশান্তিতে কারাের কোন লাভ নেই উপরন্তু শত্রুতা বাড়ে। | প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনে কিছু নীতি-নিয়ম থাকে; কিন্তু তবুও সংযােগানুসার কাজ করা উচিৎ। জীবনে যা সংযােগ আসে তাকেই যে মানিয়ে নিতে সক্ষম সেই মানুষ। মানিয়ে চলাটা এমন একটা অস্ত্র যে কেউ যদি জীবনের সমস্ত সংযােগে মানিয়ে চলতে পারে তাে সে সহজেই মােক্ষলাভ করবে।
মনােমালিন্য (মানিয়ে চলতে অক্ষম) -এটাই মূখর্তা আপনার কথা যদি আপনার সামনের জন মানতে না পারে তাহলে সেটা আপনারই ভুল। নিজের ভুল শুধরাতে পারলে সে-ও মানিয়ে নিতে পারবে। বীতরাগীগণ সর্বত্র মানিয়ে চলতে বলেছেন। মানিয়ে চলতে না পারাটাই মূখর্তা। সর্বত্র মানিয়ে চলতে পারাকেই আমি ন্যায় বলি। নিজের মত অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়াই অন্যায়।
[ ৩১ ]