________________
বজায় থাকে। এই আপেক্ষিক সত্য-তে আগ্রহ দেখানাের, জেদ করার বিন্দুমাত্র প্রয়ােজন নেই। মানুষ তাকেই বলা হয় যে সব পরিস্থিতিতে মানিয়ে চলতে পারে।
বদলানাের চেষ্টা না মানিয়ে নেওয়া? যদি আপনি সমস্ত পরিস্থিতিতে সামনের জনের সাথে মানিয়ে চলতে পারেন তাে জীবন সুন্দর হয়ে উঠবে। মৃত্যুর সময় সাথে কি নিয়ে যাব? কেউ হয়তাে বলল, “ভাই, আমার স্ত্রীকে সােজা করে দাও। আরে, ওকে সােজা করতে গেলে তুমি নিজেই বেঁকে যাবে। সে চেষ্টা না করে যেমন আছে তেমনই থাকতে দাও, সেটাই ঠিক। আপনাদের যদি চিরকাল একসাথে থাকতে হত তাহলেও একটা কথা ছিল; কিন্তু এই জন্মের পর দু’জনের কে কোথায় চলে যাবেন তার কোন ঠিকানা নেই। দু’জনের মৃত্যুর সময় আলাদা, কর্ম আলাদা, কিছু নেওয়ারও নেই, দেওয়ারও নেই। এখান থেকে উনি কোথায় যাবেন তার ঠিকানা কি? আপনি ওনার উন্নতির চেষ্টা করবেন আর পরের জন্মে উনি অন্য কারাের হয়ে যাবেন। সেইজন্যে না আপনি ওকে পাল্টানাের চেষ্টা করবেন না উনি আপনাকে পাল্টানাের চেষ্টা করবেন। যা পেয়েছেন তাই সােনার মত শুদ্ধ মনে করুন | প্রকৃতি কারাের বদলানাে সম্ভব নয়। কুকুরের লেজ যেমন বাঁকা তেমনি-ই থাকে। তাই আপনি নিজে সাবধান থাকুন - ‘এভূজাস্ট এভরিহােয়্যার।
অভদ্র, রূঢ়-প্রকৃতির লােকের সাথে মানিয়ে চলা আদর্শ সাংসারিক ব্যবহার তাকেই বলে যেখানে মতভেদ নেই মানিয়ে চলা আছে। এমনকি প্রতিবেশীও বলবে সব ঘরে ঝগড়া হয়। কিন্তু এই বাড়িতে ঝগড়া নেই। যেখানে মানিয়ে চলতে অসুবিধা হচ্ছে সেখানেই আপনার শক্তি বাড়াতে হবে। অনুকূলতা যেখানে সেখানে তাে শক্তি আছেই। প্রতিকূল লাগাটাই দুর্বলতা। আমার কেন সবার সাথে অনুকূলতা থাকে? যত মানিয়ে চলতে পারবে তত শক্তি বৃদ্ধি হবে আর দুর্বলতা হ্রাস পাবে। সঠিক বােধশক্তি তখনই আসবে যখন সমস্ত ভ্রান্ত বিশ্বাস দূর হবে।।
নরম, ভদ্রস্বভাবের লােকের সাথে তাে সবাই মানিয়ে নিতে পারে। কিন্তু যখন কোন অভদ্র, একগুঁয়ে, রূঢ়-কর্কশ লােকের সাথে মানিয়ে চলতে পারবে, সবার সাথে মানিয়ে চলতে পারবে তখনই কার্যসিদ্ধি হবে। বিরক্ত হলে, রেগে
[ ২৯ ]