________________
তৈরী’ এইরকম বলেছেন। প্রত্যেক মানুষ এমনকি প্রত্যেক জীব-ই প্রতিহিংসাপরায়ণ । যখন সংঘাত মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায় তখন কেউই আপনাকে প্রতিহিংসা না নিয়ে মুক্তি দেবে না। প্রত্যেকের মধ্যেই আত্মা আছেন আর প্রত্যেকের আত্মশক্তিও সমান। সংঘাতের সময় শারীরিক দুর্বলতার কারণে কোন জীব যদি সহ্য করতে বাধ্যও হয় সে ভিতরে প্রতিহিংসা পুষে রাখবে, আর পরের জন্মে তা সুদে-আসলে উসুল করে নেবে।
কেউ যদি খুব বকবক করে তাহলেও তার থেকে আমাদের সংঘাত সৃষ্টি করা উচিৎ নয় । আর আপনার কথা থেকে যদি কারোর মধ্যে অশান্তির সৃষ্টি হয় তাহলে সেটা অত্যন্ত বড় দোষ।
সহ্য করবে? না, সমাধান করো
-
সংঘাত এড়ানো মানে সহ্য করা নয়। সহ্য কত করবে? সহ্য করা আর কোন ‘স্প্রিং'-কে দাবানো – একই ব্যাপার। চাপতে চাপতে ‘স্পিং' অত্যন্ত শক্তি সঞ্চয় করে এক সময় লাফিয়ে ওঠে আর অনেক ক্ষতি করে। সেইজন্যে সহ্য না করে সমস্যার সমাধান করতে শেখো। অজ্ঞানদশায় অবশ্য সহ্য করতেই হয়।
যদি কাউকে আপনি সহ্য করতে বাধ্য হন তো বুঝে নেবেন যে সেটা আপনারই কর্মের হিসাব। আপনি জানেন না যে কোথা থেকে এবং কেমন করে এই হিসাব এলো তাই ধরে নেন যে এটা অন্য জনেরই দোষ ৷ আপনার কোন হিসাব নেই। কিন্তু নতুন করে আপনাকে কেউ কিছু দিচ্ছে না। আজ আপনি যা পাচ্ছেন তা আপনার পূর্বজন্মের কর্মের ফল; যা গতজন্মে দিয়েছিলেন তাই এ জন্মে ফিরে পাচ্ছেন। আপনি যা পান তা আপনার কর্মের উদয়বশতঃ পান-সামনের জন শুধু নিমিত্ত মাত্র।
সংঘাত-নিজেরই ভুল থেকে
এই জগতে যে সংঘাত হয় তা আপনারই ভুল থেকে; যার সাথে সংঘাত হচ্ছে (অর্থাৎ সামনের জন) তার কোন ভুল নেই। সামনের জন তো ধাক্কা দেবেই। ‘আপনি কেন ধাক্কা দিলেন?' এই প্রশ্ন করলে বলবেন যে ‘সামনের জন ধাক্কা দিয়েছে – তাই।' তাহলে বলতে হয় সেও অন্ধ আর আপনিও অন্ধ হয়ে গেছেন।
-
কারোর সাথে সংঘাত হলে আপনাকে ভাবতে হবে যে ‘আমি কি করেছি বা বলেছি যে কারণে এই সংঘর্ষ হল ?' নিজের ভুল দেখতে পেলে নিজেই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। নইলে যতক্ষণ আমি অন্যজনের ভুল
[38]