________________
সংঘাত এড়িয়ে চলুন
সংঘর্ষে জড়াবেন না ‘কারাের সাথে সংঘাতের মধ্যে যাবেন না - চেষ্টা করুন এড়িয়ে যেতে’; আমার এই বাক্য যে আত্মস্থ করবে মােক্ষপ্রাপ্তি তার নাগালের মধ্যেই হবে। আমার একটা শব্দ-ও যদি কেউ সঠিকভাবে বুঝে তা জীবনে প্রয়ােগ করে চলতে পারে তাহলেই কাজ হবে।
| হ্যা, আমার একটা শব্দ-ও যদি কেউ একটা পুরাে দিন পালন করে চলে তাহলে তার মধ্যে প্রচন্ড শক্তি আসবে। প্রত্যেকের অন্তরে এত শক্তি আছে। | যে ইচ্ছে করলেই অন্যের সাথে সংঘাত এড়াতে পারে, এমনকি অপরদিক থেকে সংঘর্ষের সবরকম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও।
ভুল করে বা অনিচ্ছাকৃত ভাবেও কারাের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে সেই পরিস্থিতি থেকে কোনরকম শত্রুতার অবকাশ না রেখে স্থৈর্যের সাথে । সমস্যার সমাধান করে বেরিয়ে আসতে হবে।
ট্রাফিক নিয়ম দুর্ঘটনা নিবারণ করে সমস্ত সংঘাত থেকে দুজনেরই ক্ষতি হয়। আপনি কাউকে দুঃখ দিলে সাথে সাথে আপনিও দুঃখ পাবেন। সেইজন্যে আমি এই ট্রাফিক নিয়মের উদাহরণ দিয়েছি। রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ম না মেনে চললে দুর্ঘটনায় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে - সংঘর্ষ এত বিপজ্জনক। অন্যের সাথে সংঘাতও এরকম-ই ক্ষতিকারক। সেইজন্যে কারাের সাথে সংঘাতে যাবেন না। সংসারে প্রাত্যহিক ব্যবহারের মধ্যেও কখনও সংঘাত তৈরি করবেন না। তাতে সবসময় বিপদ থাকবে।
যদি কোন ব্যক্তি আপনার সাথে ঝগড়া করার মানসিকতা নিয়ে এসে শব্দবােমা নিক্ষেপ করতে থাকে তাে আপনাকেই সতর্ক থেকে সংঘাত এড়াতে হবে। প্রথমে না বুঝলেও আস্তে আস্তে ঝগড়ার একটা ফল আপনার উপর প্রভাব ফেলবে; আপনার মন অশান্ত হবে। তখন আপনাকে বুঝতে হবে যে। অন্যজন আপনার মনে প্রভাব ফেলছে সেইজন্যে আপনাকে তার রাস্তা থেকে সরে আসতে হবে। আপনার বােধশক্তি যত বাড়বে ততই আপনি সংঘাত এড়াতে পারবেন। সংঘাত এড়াতে পারলেই মুক্তি সম্ভব।
সংঘাত থেকেই এই জগতের উৎপত্তি। একেই ভগবান শত্রুতা থেকে
[ ৩৩ ]