________________
পরিনাম থেকে কারণ বােঝা যায় এই সমস্ত কিছুই ফল। পরীক্ষায় যদি অঙ্কে ১০০-র মধ্যে কেউ ৯৫ পায় আর ইংরেজিতে ১০০-র মধ্যে ২৫ পায় তাহলে সে কোথায় ভুল করেছে। বুঝতে পারবে নাকি? এই পরিনাম থেকে তার কি ভুল হয়েছে তা তাে সে বুঝবে। সমস্ত সংযােগ যা একত্র হয় তা সমস্ত-ই ফল। এই ফল থেকে কারন কি ছিল তা আমি বুঝতে পারি।
রাস্তার ধারে একটা কঁাটা খাড়া হয়ে আছে। সেই রাস্তা দিয়ে তাে অনেক লােকের যাতায়াত কিন্তু কাটা অমনিই আছে। আপনি সচরাচর জুতাে-চপ্পল ছাড়া রাস্তায় বেরােন না। কিন্তু সেদিন হঠাৎ ‘চোর চোর’ রব ওঠাতে আপনিতাড়াহুড়াে করে খালি পায়েই রাস্তায় বেরােলেন কি হয়েছে দেখতে আর তখনই যদি কঁাটাটা আপনার পায়ে ফুটে যায় তাে সেটা আপনার হিসাব।
| কেউ দুঃখ দিলে জমা করবেন। যা আপনি আগে কাউকে দিয়েছিলেন। তাই আপনার কাছে ফিরে এলে জমা করবেন। কেননা কোন কারণ ছাড়া কেউ কাউকে দুঃখ দিতে পারে প্রকৃতিতে এরকম নিয়ম-ই নেই। সমস্ত কাজের। পিছনেই কারণ থাকে। সেইজন্যে জমা করবেন।
ভগবানের কাছে কেমন হয়? ভগবান ন্যায়স্বরূপ-ও নন আবার অন্যায়স্বরূপ-ও নন। কোন জীবের বিন্দুমাত্রও দুঃখ না হয় - এটাই ভগবানের ভাষা। ন্যায়-অন্যায় শব্দগুলাে শুধুমাত্র মানুষের ভাষাতেই আছে।
| চোর চুরি করাকে ধর্ম বলে জানে, দানী দান করাকে ধর্ম মনে করে। কিন্তু এসব-ই লােকসংজ্ঞা, ভগবানের ভাষা নয়। ভগবানের কাছে তাে পয়সা-কড়ি কিছু নেই। ভগবানের জগতে এই আছে যে, কোন জীব অন্য কোন জীবকে বিন্দুমাত্র দুঃখ দেবে না; এই আমার আজ্ঞা।
| নিজের মধ্যের দোষ-ই অন্যের দোষ দেখায় কেবলমাত্র নিজের দোযের জন্য লােকে জগতে অন্যায় দেখে। প্রকৃতিতে তাে একমুহূর্তের জন্যেও ন্যায় হয় নি। শুধুমাত্র ন্যায়-ই হয়। কোর্ট-এর দেওয়া রায়-এ ন্যায় নাও পাওয়া যেতে পারে - সেখানে অন্যায় হতে পারে কিন্তু প্রকৃতির বিচারে তাে কখনাে বিন্দুমাত্রও অন্যায় হয় না।
[ ৩৯ ]