________________
এড্জাস্ট এড্েিহায়্যার (সর্বত্র মানিয়ে চলুন) এই কথাটি আত্মস্থ করুন
‘এড্জাস্ট এভরিহোয়্যার’-এই কথাটি যদি আপনি নিজের জীবনে কাজে লাগাতে পারেন তাহলেই যথেষ্ট হবে। জীবনে শান্তি আসবে। কলিযুগের এই ভয়ানক সময়ে যদি মানিয়ে চলতে না পারেন তো শেষ হয়ে যাবেন। সংসারে যদি আর কিছু না পারেন তো চলবে কিন্তু মানিয়ে চলতে অবশ্যই জানা দরকার। সামনের জন যদি মানিয়ে চলতেই না চায় তবু আপনি যদি তার সাথে মানিয়ে চলেন তো ভবসাগর সাঁতরে পার হয়ে যাবেন। যে অন্যের সাথে মানিয়ে চলতে পারে তার সংসারে কোন দুঃখ থাকে না। ‘এডজাস্ট এভরিহোয়্যার'! প্রত্যেকের সাথে সমন্বয় হয়ে যায় – সেটাই সবথেকে বড় ধর্ম। এ যুগে সকলের প্রকৃতি ভিন্ন, তাই মানিয়ে চলা ছাড়া কোন উপায় আছে ? ধরুন এই আইসক্রীম, এ তো আপনাকে বলে না যে আমার থেকে দূরে থাকো; আপনার ইচ্ছে না হলে খাবেন না। কিন্তু এইসমস্ত বয়স্ক লোকেরা ওর ওপর বিরক্ত হয়ে থাকেন। এই মতভেদ যুগ পরিবর্তনের কারণে হয়। ছোটরা তো যুগের রীতি অনুসারেই চলবে।
-
আমি যুগের সাথে মানিয়ে চলতে বলছি। ছেলে নতুন ধরনের টুপি পরে এলে তাকে বলবে না যে ‘এরকম কোথা থেকে নিয়ে এলে?' তার বদলে মানিয়ে নিয়ে বলবে ‘এত সুন্দর টুপি কোথায় পেলে? কত দাম পড়ল? খুব সস্তায় পেলে?' এইভাবে মানিয়ে চলবে ।
নিজের ধর্ম বলছে যে অসুবিধার মধ্যেও সুবিধা দেখো। যেমন রাতে আমার মনে হল ‘এই চাদরটা ময়লা'। কিন্তু যেমনি মানিয়ে নিলাম অমনি এত মোলায়েম মনে হল যে সে আর কি বলব। আসলে পঞ্চেন্দ্রিয়জ্ঞান অসুবিধা দেখায় আর আত্মজ্ঞান সুবিধা দেখায়। সেইজন্যে আত্মা-য় থাকো। ভাল-মন্দ বললে তা নিজেকেই কষ্ট দেবে। আমাদেরকে দুটোই সমান দেখতে হবে। একটাকে ‘ভাল' বলেছেন বলেই অন্যটা ‘মন্দ’ হয়েছে। আর তখন তা কষ্ট দেবে। কেউ সত্যি বললে তার সাথে মানিয়ে চলবে আবার কেউ মিথ্যে বললেও তার সাথে মানিয়ে চলতে হবে। কেউ যদি আমাকে বলে যে, আপনার কোন আক্কেল নেই' আমি সাথে সাথে তা মানিয়ে নিয়ে বলি, ‘সে তো কোনদিন-ই ছিল না। তুমি একথা আজকে জানলে? আমি তো ছোটবেলা
[ 27 ]