________________
১৫. পাঁচ আজ্ঞায় জগৎ নির্দোষ ‘স্বরূপজ্ঞান ছাড়া তাে ভুল দেখাই যায় না। কেননা আমি চন্দুভাই', ‘আমি নির্দোষ’, ‘আমি খুব চালাক-চতুর’- এরকম মান্যতা থাকেই। স্বরূপজ্ঞান’ প্রাপ্তির পর আপনি নিস্পক্ষপাতী হন আর মন-বচন-কায়ার উপর আপনার কোন পক্ষপাত থাকে না। ফলে আপনার নিজের ভুল আপনি নিজেই দেখতে পান।।
যাঁর নিজের ভুল বােধে আসে, যিনি প্রতিক্ষণ নিজের ভুল দেখতে পান। যেখানে যেখানে ভুল হচ্ছে সেখানেই দেখতে পান আর যেখানে ভুল হয় না তাও দেখতে পান তিনি নিজে স্বয়ং-ই পরমাত্মাস্বরূপ হয়ে গেছেন। আমি চন্দুভাই নই, আমি শুদ্ধাত্মা’-এটা বােঝার পরই নিষ্পক্ষপাতী হওয়া যায়। যখন অন্যের বিন্দুমাত্র দোষ-ও দৃষ্টিগােচর না হয় আর নিজের সমস্ত দোষ দৃষ্টিগােচর হয় তখনই নিজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলা যায়।
যখন নিজের দোষ দৃষ্টিগােচর হয় তখন থেকেই আমার দেওয়া ‘জ্ঞান পরিপূর্ণতার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। আর নিজের দোষ দৃষ্টিগােচর হওয়া শুরু হলে অন্যের দোষ দৃষ্টিগােচর হয় না। অন্যের দোষ দেখা - ভয়ানক পাপ কাজ। এই নির্দোষ জগতে যেখানে কেউ দোষী-ই নয় সেখানে কাকে দোষ দেব? যতক্ষণ পর্যন্ত দোষ আছে, যতক্ষণ সমস্ত দোষ শেষ না হচ্ছে ততক্ষণ অহংকার নির্মূল হয় না। আর যতক্ষণ অহংকার নির্মূল না হচ্ছে ততক্ষণ দোষ ধুতে হবে। তারপরেও যদি কেউ দোষী দেখায় তাে সেটা নিজের ভুল। কখনাে না কখনও তাে নির্দোষ দেখতেই হবে। এসব আমার-ই হিসাবের, এটা-ও যদি বুঝে যাও তাে অনেক কাজ হয়ে যাবে।।
আজ্ঞাপালন থেকে নির্দোষ দৃষ্টির বৃদ্ধি আমার তাে জগৎ নির্দোষ দেখায়। আপনার যখন এরকম দৃষ্টি আসবে তখন সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমি আপনাকে এত প্রকাশ দেব এবং আপনার এত পাপ ধুয়ে দেব যে আপনার কাছে প্রকাশ থাকে আর নির্দোষ দেখতে পান। আর পাঁচ আজ্ঞা দেব; পাঁচ আজ্ঞায় থাকলে এই যে জ্ঞানের প্রাপ্তি হয়েছে তাতে ফ্র্যাকচার হবে না।
তখন হল সকিত | নিজের দোষ দেখলে তখন থেকে সকিত হয়েছে এমন বলা যায়। নিজের দোষ দেখলে বুঝতে হবে যে জাগৃতি এসেছে। নইলে তাে সব নিদ্রার
[ ২৫ ]