________________
দাদার সৎসঙ্গের অলৌকিকতা যদি খুব ভারী কর্মের উদয় হয় তখন আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে এই কর্মের উদয় খুব ভারী আর আপনাকে শান্ত থাকতে হবে। কর্মের উদয়কে ঠান্ডা করে আপনি সৎসঙ্গে তাসবেন। এই রকম চলতে থাকবে। কখন কেমন কর্মের উদয় হবে তা বলা যায় না।
প্রশ্নকর্তা ও জাগৃতি বিশেষভাবে বাড়ে -এর উপায় কি? দাদাশ্রীঃ সৎসঙ্গে থাকা - এটাই উপায়।।
প্রশ্নকর্তা : আপনার সাথে ছ'মাস থাকলে প্রথমে স্থূল পরিবর্তন হবে তারপরে সূক্ষ্ম পরিবর্তন হবে - এইরকমই বলছেন কি?
দাদাশ্রী ঃ হ্যা, শুধু বসে থাকলেই পরিবর্তন হতে থাকবে। সেইজন্যে এখানকার পরিচয়ে থাকা চাই – দু’ঘন্টা, তিনঘন্টা, পাঁচ ঘণ্টা; যতটা জমা করবে ততটাই লাভ। লােকে জ্ঞান নেওয়ার পর মনে করে আমাকে আর কিছু করতে হবে না। কিন্তু সেটা ঠিক নয়; এখনও পর্যন্ত তাে পরিবর্তন হয়-ইনি।
জ্ঞানীর সান্নিধ্যে থাকো প্রশ্নকর্তা : মহাত্মাদের পূর্ণ পদ পাওয়ার জন্যে কি করণীয়?
দাদাশ্রী ঃ যতটা সম্ভব জ্ঞানীর কাছে জীবন কাটানাে দরকার - এটাই করনীয়; আর কিছু নয়। যেখানেই থাকো না কেন রাত-দিন দাদার কাছেই থাকা উচিৎ। ওনার (অর্থাৎ আত্মজ্ঞানীর) দৃষ্টিপথে বসে থাকো।
এখানে সৎসঙ্গে বসে কর্মের বােঝা কম হতে থাকে আর বাইরে তাে কর্মের বােঝা বাড়তেই থাকে। সংসারে তাে সমস্যাই সমস্যা। আমি আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে যতক্ষণ আপনি সৎসঙ্গে বসে থাকবেন ততক্ষণ আপনার কাজকর্মের কোন ক্ষতি হবে না; হিসাব-নিকাশ করলে দেখবেন যে লাভ-ই হয়েছে। এই যে সৎসঙ্গ এটা কি যেমন-তেমন কোন সৎসঙ্গ? যে শুধু আত্মার জন্যেই সময় দেয় তার সংসারে লােকসান কি করে হবে? শুধু লাভই হয়। কিন্তু এটা বুঝলে তবেই কাজ হবে। এই সৎসঙ্গে থাকা মানে আসা বেকার যাবে না। এখন তাে কত সুবিধা - ভগবান মহাবীর-এর সময় পায়ে হেঁটে সৎসঙ্গে যেতে হত। এখন তাে বাসে বা ট্রেনে চড়ে তাড়াতাড়িই পৌঁছানাে
যায়।
[ ২৩ ]