________________
অনুভব, লক্ষ্য আর প্রতীতি এই তিনটেই থাকবে। প্রতীতি সব সময়ের জন্যে থাকবে। লক্ষ্য মাঝে মাঝে চলে যাবে। ব্যাবসা বা কোন কাজে ব্যস্ত থাকলে লক্ষ্য চলে যাবে, কাজ শেষ হলে আবার ফিরে আসবে। আর অনুভব তাে তখনই হবে যখন কর্মহীন অবস্থায় একান্তে বসে আছেন – তখন অনুভবের স্বাদ পাবেন। যদিও অনুভব ক্রমশঃ বাড়তেই থাকবে।
| অনুভব, লক্ষ্য আর প্রতীতি; এর মধ্যে প্রতীতি-ই মুখ্য – এটাই আধার। এই আধার তৈরী হওয়ার পর লক্ষ্য উৎপন্ন হয়। তারপরে আমি শুদ্ধাত্মা’ - এটা নিরন্তর লক্ষ্যে থাকে আর যখন একান্তে বসে জ্ঞাতা-দ্রষ্টা থাকা যায় তখন তা অনুভবে আসে।
১৩. প্রত্যক্ষ সৎসঙ্গের মহত্ত্ব সমস্যার সমাধানের জন্যে সৎসঙ্গ প্রয়ােজন।
এই অক্ৰমবিজ্ঞান-এর মাধ্যমে আপনারও আত্মানুভব প্রাপ্ত হয়েছে। এটা আপনি সহজে পেয়েছেন – এতে আপনার নিজের লাভ হবে, প্রগতিও করতে পারবেন। কিন্তু ‘জ্ঞানী’-র কাছ থেকে বিশেষভাবে বুঝে নেওয়া দরকার।
| এই জ্ঞান সূক্ষ্মভাবে বুঝতে হবে কারণ এক ঘন্টায় এই জ্ঞান দেওয়া হয়েছে। এত বিশাল জ্ঞান ! এককোটি বছরেও যা সম্ভব নয় তা এক ঘন্টায় হয়ে যায়। কিন্তু বেসিক মানে বুনিয়াদী-রূপে হয়। একে সবিস্তারে বুঝে নিতে হবে না? একে সূক্ষ্মভাবে বােঝার জন্যে আপনি আমার কাছে বসে প্রশ্ন করলে আমি আপনাকে বুঝিয়ে দেব। এইজন্যেই আমি বলি যে সৎসঙ্গ খুবই দরকার। আপনি যে যে বিষয়ে এখানে প্রশ্ন করবেন সেই সেই বিষয়ের গ্রন্থি আপনার ভিতর খুলে যাবে। যারই কোন সন্দেহ থাকবে তারই প্রশ্ন করা উচিৎ।
| বীজ বােনার পরে জলসেচ করাও দরকার | প্রশ্নকর্তা ও জ্ঞান নেওয়ার পরেও ‘আমি শুদ্ধাত্মা’-এই কথা খেয়ালে রাখতে হয় - এটা বেশ কঠিন।
দাদাশ্রীঃ না, এরকম হওয়া উচিৎ নয়। খেয়ালে রাখতে হবে না - নিজে থেকেই থাকবে। এরজন্যে কি করা দরকার? এর জন্যে আমার কাছে বারবার আসতে হবে। যতটা জল দেওয়া দরকার তা দেওয়া হয় না বলেই এই সমস্ত মুস্কিল হয়। আপনি যদি ব্যাবসায় মন না দেন তাে ব্যাবসার কি হবে?
[ ২১ ]