________________
প্রশ্নকর্তা : এই যে জ্ঞানের বীজ বুনেছেন এই কি প্রকাশ, এই কি জ্যোতি?
দাদাশ্রীঃ হ্যা, কিন্তু বীজরূপে; এরপর আস্তে আস্তে পূর্ণিমা হবে। পুদগল আর পুরুষ-দুই আলাদা হলে তখন থেকেই ঠিক পুরুষার্থ শুরু হয়। যেখানে পুরুষার্থ শুরু হয়েছে সেখানে দ্বিতীয়া থেকে পূর্ণিমা হয়ে যাবে। এই আজ্ঞার পালন করলে তবেই হবে। আর কিছু করতে হবে না শুধু আজ্ঞাপালন করতে হবে।
প্রশ্নকর্তা ও দাদা পুরুষ হওয়ার পরের পুরুষার্থের বর্ণনা একটু দিন। এটা ব্যক্তি কিভাবে ব্যবহার করবেন? | দাদাশ্রীঃ এঁরা সবাই থাকেন, এই যে সমস্ত মহাত্মারা সবাই পাঁচ আজ্ঞায় থাকেন। পাঁচ আজ্ঞাই সত্যিকারের পুরুষার্থ। পাঁচ আজ্ঞা পালনের ফলে জ্ঞাতাদ্রষ্টা পদে থাকা যায়। আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে সঠিক পুরুষার্থ কি? তাে আমি বলব জ্ঞাতা-দ্রষ্টা থাকা। এই পাঁচ আজ্ঞা তাে জ্ঞাতা-দ্রষ্টা থাকতেই শেখায়। যেখানে আন্তরিকভাবে পুরুষাৰ্থ শুরু হয়েছে সেখানে আমার কৃপাবর্ষণ অবশ্যই হয়।।
১২. আত্মানুভব তিনটি ধাপে, অনুভব-লক্ষ্য-প্রতীতি প্রশ্নকর্তা : আত্মার অনুভব হলে কি হয় ?
দাদাশ্রী ও আত্মার অনুভব হলে দেহাধ্যাস চলে যায়। দেহাধ্যাস চলে গেলে কর্মের বন্ধন থেমে যায়। আর এর চেয়ে বেশী কি চাই?
আগে ‘চন্দুভাই’ কোথায় ছিল আর এখন কোথায় আছে তা বুঝতে পারেন। এই পরিবর্তন কি করে হল? আত্ম-অনুভব থেকে; আগে দেহাধ্যাস ছিল, এখন এটা আত্মার অনুভব।
| প্রতীতি অর্থাৎ সম্পূর্ণ মান্যতা একশাে ভাগ বদলে গেছে আর আমি শুদ্ধাত্মা” এই বিশ্বাস সম্পূর্ণভাবে তৈরী হয়ে গেছে। আমি শুদ্ধাত্মা' এই শ্রদ্ধা আসে আবার চলে যায় কিন্তু প্রতীতি কখনও চলে যায় না। শ্রদ্ধা বদলে যায়, প্রতীতি বদলায় না।
প্রতীতি মানে ধরে নাও আমি এই কাঠ এখানে রাখলাম - এখন এর উপরে অনেক ভার দিলে তা বেঁকে যাবে কিন্তু জায়গা ছাড়বে না। তেমনি যত কর্মের উদয়-ই হােক না কেন, অসৎ কর্মের-ও উদয় হােক প্রতীতি কিন্তু স্থানত্যাগ করবে না। আমি শুদ্ধাত্মা'-এই ভাব কখনও চলে যাবে না।
| [২০]