________________
দৃঢ়নিশ্চয় করলে আজ্ঞা পালন দাদার আজ্ঞা পালন করে চলতে হবে এই ভাবটাই সব থেকে বড়। আজ্ঞা পালন করতে হবে এটা স্থিরনিশ্চয় করুন। পালন হচ্ছে কি হচ্ছে না তা আপনার দেখার দরকার নেই। আজ্ঞা যতটা পালন করতে পারবেন করবেন কিন্তু আপনাকে স্থিরনিশ্চয় করতে হবে যে আজ্ঞা পালন করবাে।
প্রশ্নকর্তাঃ আজ্ঞা পালন করতে যদি কম-বেশী হয় তাতে ক্ষতি নেই
দাদাশ্রী ও ক্ষতি নেই এরকম নয়। আপনাকে নিশ্চয় করতে হবে যে আজ্ঞা পালন করতেই হবে। সকালে উঠেই দৃঢ়নিশ্চয় করবেন যে ‘আমাকে পাঁচ আজ্ঞাতেই থাকতে হবে, পাঁচ আজ্ঞা পালন করতে হবে। এরকম ঠিক করলেই আমার আজ্ঞাতে এসে যাবেন আর আমার এটুকুই চাই।
আজ্ঞা পালন করতে ভুলে গেলে প্রতিমন করবেন, “হে দাদা, দু’ঘন্টার জন্যে আপনার আজ্ঞা ভুলে গেছিলাম, কিন্তু আমাকে তাে আজ্ঞা পালন করতেই হবে। আমাকে ক্ষমা করুন। তাহলেই সমস্ত পরীক্ষাতে পাস - ১০০তে ১০০ নম্বরই পাবে। এতে কোন বিপদ থাকবে না। আজ্ঞাতে থাকলে সংসার স্পর্শ করবে না। আমার আজ্ঞা পালন করলে আপনাকে কিছুই স্পর্শ করবে না।।
‘আজ্ঞা পালন থেকেই যথার্থ পুরুষার্থের শুরু আমি আপনাকে জ্ঞান দিয়ে আপনার প্রকৃতি থেকে আলাদা করেছি। ‘আমি শুদ্ধাত্মা’ মানে পুরুষ আর এটাই যথার্থ পুরু্যার্থ, সত্যিকারের পুরুষার্থ।
প্রশ্নকর্তাঃ সত্যিকারের (রিয়েল) পুরুষার্থ আর আপেক্ষিক (রিলেটিভ) পুরুষার্থ-এই দুই-এর পার্থক্য কি?
দাদাশ্রী : রিয়েল পুরু্যার্থ-তে কিছু করতে হয় না। দু’টোর মধ্যে পার্থক্য এই যে সত্যিকারের পুরুষার্থ অর্থাৎ ‘দেখা’ আর ‘জানা’ আর রিলেটিভ পুরুষার্থ মানে ভাবনা করা যে আমি এইরকম করব। | আপনি ‘চন্দুভাই ছিলেন আর পুরুষার্থ করতেন সেটা ভ্রান্তির পুরুষার্থ ছিল কিন্তু যখন আমি শুদ্ধাত্মা’-র প্রাপ্তি হয়েছে তারপরে পুরুষার্থ করুন, পাঁচ আজ্ঞায় থাকুন সেটা রিয়েল পুরুষার্থ, সত্যিকারের পুরুষার্থ। পুরুষ (পদ)এর প্রাপ্তির পরই পুরুষার্থ করছেন তা বলা যাবে।
| [ ১৯ ]