________________
দ্বিতীয়া থেকে পূর্ণিমা
আমি যখন জ্ঞান দিই তখন অনাদিকালের অর্থাৎ লক্ষ জন্মের যে অমাবস্যা ছিল, অমাবস্যা আপনি বুঝলেন? ‘চন্দ্ৰহীন' অনাদিকাল থেকে অন্ধকারেই সবাই বেঁচে থাকে। আলো দেখেই নি; চাঁদ দেখেই নি। আমি যখন এই জ্ঞান দিই তখন চন্দ্ৰমা প্রকট হয়। প্রথমে তা দ্বিতীয়ার চাঁদের মত আলো দেয়। সম্পূর্ণ জ্ঞান দিই কিন্তু ভিতরে প্রকট হয় কতটা? দ্বিতীয়ার চাঁদের মত । এই জন্মেই পূর্ণিমা হওয়া পৰ্য্যন্ত আপনাকে সাধনা করতে হবে। দ্বিতীয়া থেকে তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী হবে আর পূর্ণিমা হয়ে গেলে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে অর্থাৎ কেবলজ্ঞান প্রাপ্ত হবে। কোন কর্ম আর বাকী থাকবে না, কর্মবন্ধনও থেমে যাবে। ক্রোধ-মান-মায়া-লোভ থাকবে না । আগে নিজেকে যে ‘চন্দুভাই” বলে মনে করতেন সেটা ভ্রান্তি। ‘আমি চন্দুভাই’-এই ভ্রান্তি দূর হয়েছে। এখন যে আজ্ঞা আপনাকে দেওয়া হল সেই আজ্ঞায় থাকবেন।
এখানে জ্ঞানবিধিতে এলে আমি সমস্ত পাপ ধুয়ে দেব, তখন আপনি নিজের দোষ দেখতে পাবেন। আর যখন নিজের দোষ দেখতে পারবেন তখন থেকেই বুঝবেন মোক্ষ-এ যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
১১. আত্মজ্ঞান পাওয়ার পর আজ্ঞা পালন করার মহত্ব আজ্ঞা, জ্ঞান-এর রক্ষণের জন্যে
আমার জ্ঞান দেওয়ার পর আপনার যখন আত্মানুভূতি হয় তখন আর কি কাজ বাকি থাকে? ‘জ্ঞানীপুরুষ'-এর আজ্ঞা পালন করা। ‘আজ্ঞা’-ই ধৰ্ম আর ‘আজ্ঞা’-ই তপ। আর আমার আজ্ঞা সংসারের জন্যে বিন্দুমাত্র বাধা নয় ৷ সংসারে থেকেও সংসার স্পর্শ না করে এইরকম এই অক্রমবিজ্ঞান।
এই কাল-ই এমন যে সর্বত্র-ই কুসঙ্গ আছে। রান্নাঘর থেকে অফিস, ঘরে, রাস্তায়, বাইরে, গাড়িতে, ট্রেনে - সর্বত্র কুসঙ্গই পাওয়া যায়। এই যে জ্ঞান আমি আপনাকে দু-ঘন্টাতে দিয়েছি কুসঙ্গ আছে বলেই তাকে কুসঙ্গ নষ্ট করে দেবে। করবে কি না? এইজন্যে পাঁচ আজ্ঞার রক্ষণ বেড়া দিয়ে দিই যাতে এটা জ্ঞানকে রক্ষা করে আর ভিতরে বিন্দুমাত্রও ক্ষতি হতে না দেয়। এই জ্ঞান যেমন দেওয়া হয়েছিল তেমন স্থিতিতেই থাকবে। যদি বেড়া ভেঙে যায় তাহলে জ্ঞানকে নষ্ট করে ধুলোয় মিশিয়ে দেবে।
আমি এইযে জ্ঞান দিয়েছি তা ভেদজ্ঞান আর সেটা আত্মা-অনাত্মাকে আলাদা করে দেয়। কিন্তু এরা যাতে আলাদাই থাকে তারজন্যে এই পাঁচ বাক্য
[ ১৭ ]