________________
আবরন নষ্ট হয়। তখনই ভগবানের কৃপা হয় এবং উনি নিজে জাগৃত হন। এই জাগৃতি চলে যায় না, নিরন্তর জাগৃত থাকেন। মানে নিরন্তর প্রতীতি থাকবেই। আত্মার অনুভব হওয়া মানে দেহাধ্যাস চলে যাওয়া। দেহাধ্যাস দূর হয়ে যাওয়া মানে কর্মবন্ধন আর হয় না। প্রথম মুক্তি অজ্ঞান থেকে হয়; পরে এক-দু জন্মে অন্তিম মুক্তি পাওয়া যায়।
জ্ঞানাগ্নি দ্বারা কর্ম ভস্মীভূত হয় যেদিন এই জ্ঞান দিই সেদিন কি হয় ? যে কর্ম ছিল তা জ্ঞানাগ্নিতে ভস্মীভূত হয়ে যায়। দুই প্রকার কর্ম ভস্মীভূত হয় আর এক প্রকারের কর্ম বাকি থাকে। যে কর্ম বাষ্প-স্বরূপ তা নষ্ট হয়ে যায়, যে কর্ম জল-স্বরূপ তাও নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু যে কর্ম বরফের মতাে জমে গেছে তার নাশ হয় না। কেন।
তা জমাট বেঁধে আছে। যে কর্ম ফল দেওয়ার জন্যে তৈরী হয়ে গেছে তা ছাড়ে না। কিন্তু বাষ্প আর জলের মত যে কর্ম তা জ্ঞানাগ্নি ভস্ম করে দেয়। সেইজন্যে জ্ঞান পেতেই লােক একদম হাল্কা হয়ে যায়, জাগৃতি অনেক বেড়ে যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত কর্ম ভস্মীভূত না হচ্ছে ততক্ষণ জাগৃতি বাড়ে না। বরফের মত জমে যাওয়া কর্ম তাে ভােগ করতেই হবে। সেই কর্মভােগ যাতে সহজ হয় তার উপায় তাে আমি বলে দিয়েছি, ‘ভাই, এই ‘দাদাভগবান-এর অসীম জয় জয় কার হােক' বলবে, ত্রিমন্ত্র বলবে, ন’ কলাম বলবে।
সংসার দুঃখ-এর অভাবকেই মুক্তির প্রথম অনুভব বলে। যখন আমি জ্ঞান দিই তখন দ্বিতীয় দিন থেকেই তা শুরু হয়ে যায়। তারপরে যখন এই শরীরের বােঝা, কর্মের বােঝা সব নষ্ট হয়ে যায় তখন দ্বিতীয় অনুভব। তখন তাে এত আনন্দ হয় যে তার কোন বর্ণনা দেওয়া সম্ভব! | প্রশ্নকর্তা : আপনার কাছ থেকে যে জ্ঞান পেয়েছি সেটাই তাে আত্মজ্ঞান ?
দাদাশ্রী ঃ যা পাওয়া যায় তা আত্মজ্ঞান নয়, ভিতরে যা প্রকট হয় তাই আত্মজ্ঞান। আমি বলাই আর আপনি বলেন - তাতেই পাপ ভস্মীভূত হয় আর ভিতরে জ্ঞান প্রকট হয়। আপনার হয়েছে কি না?
প্রশ্নকর্তা : হঁ্যা, হয়ে গেছে।
দাদাশীঃ আত্মা প্রাপ্ত করা কি সহজ কথা? জ্ঞানাগ্নি দ্বারা পাপ ভস্মীভূত হয়ে যায়। তার কি হয়? আত্মা আর দেহ পৃথক হয়ে যায়। তৃতীয় আর কি হয়? ভগবান-এর কৃপা নেমে আসে যাতে নিরন্তর জাগৃতি উৎপন্ন হয় – তাতে প্রজ্ঞাশক্তির আরম্ভ হয়।।
[১৬]