________________
আমি ‘জ্ঞান’ দিই তখন ‘আত্মা’ আর ‘অনাত্মা'-কে আলাদা করে দিই আর আপনাকে ঘরে পাঠিয়ে দিই।
জ্ঞান-এর প্রাপ্তি নিজে থেকে হয় না। যদি নিজে থেকে জ্ঞান পাওয়া যেত তবে এই সমস্ত সাধু-সন্ন্যাসী সবাই তা পেয়ে যেতেন। কিন্তু এটা জ্ঞানীপুরুষএর কাজ। জ্ঞানীপুরুষ-ই এর নিমিত্ত। | যেমন ওযুধের জন্যে ডাক্তারের দরকার হয়; তখন কেউ নিজে ওষুধ বানিয়ে খায় না-ভয় থাকে যে কিছু ভুল হলে মৃত্যু হবে। কিন্তু আত্মার সম্বন্ধে তাে নিজেই মিক্সচার বানিয়ে নাও। গুরুর দেওয়া মার্গদর্শন ছাড়াই নিজের বুদ্ধিমত শাস্ত্র পড়ে তার মিক্সচার বানিয়ে খেয়েছে! ভগবান একে স্বচ্ছন্দ বলেন। এই স্বচ্ছন্দ থেকেই তাে অনন্ত জন্মের মরণ হয়েছে। যেটা একই জন্মের মৃত্যু ছিল!!!
| অমজ্ঞান থেকে নগদ মােক্ষ | ‘জ্ঞানীপুরুষ’ যখন আপনার সামনে প্রত্যক্ষ আছেন তখন মার্গদর্শন হয়ে যাবে; নইলে লােক তাে অনেক চিন্তা করে কিন্তু মার্গদর্শন-এর অভাবে উল্টো রাস্তায় চলে যায়। জ্ঞানীপুরুষ’ তাে কদাচিৎ একজন প্রকট হন, তার কাছ থেকে জ্ঞান পেলে আত্মানুভব হয়। মােক্ষ তাে এখানে নগদ হতে হবে। এখানেই দেহ সমেত মােক্ষ পেতে হবে। এই অক্ৰমজ্ঞান থেকে নগদ মােক্ষ পাওয়া যায় আর তার অনুভব-ও হয়।
জ্ঞানীই আত্ম-অনাত্মার ভেদ করতে পারেন এই আংটিতে সােনা তার তামার মিশ্রন আছে। যে কাউকে বললে কি সে এই সােনা আর তামা আলাদা করে দিতে পারবে? কে এই আংটি থেকে সােনা আর তামা আলাদা করতে পারবে?
প্রশ্নকর্তা ও সােনার কারিগরই তা পারবে।
দাদাশ্রীঃ অর্থাৎ এটা যার কাজ, যে এই কাজে পারদর্শী সেই শুধু পারবে সােনা আর তামা আলাদা করতে; কারণ সে এদের গুনধর্ম জানে। সােনার গুনধর্ম আর তামার গুনধর্ম - দুটোই তার জানা আছে। তেমনি জ্ঞানীপুরুষ আত্মার গুনধর্ম জানেন আর অনাত্মার -ও গুনধর্ম জানেন ।
আংটিতে সােনা আর তামা মিক্সচার হিসাবে থাকে – তাই আলাদা করা যায়। কিন্তু সােনা আর তামা কম্পাউন্ডরূপে থাকলে তাদের আলাদা করা