________________
প্রশ্নকর্তা : কিন্তু আমাকে এরকম বলা হয়েছে যে ভগবান তোমার ভিতরেই আছেন । শান্তি তোমার ভিতর থেকেই আসবে, বাইরে ঘুরে বেড়ানো বন্ধ করে দাও।
দাদাশ্রী ঃ হ্যাঁ, ঠিক আছে।
প্রশ্নকর্তা ঃ কিন্তু ভিতরে যে ভগবান আছেন তাঁর কিছুমাত্র অনুভব-ও হয় না ।
দাদাশ্রী : চিন্তা থাকলে অনুভব হয় না। চিন্তা হলে যদি কোন অনুভব হয়েও থাকে তা চলে যাবে। চিন্তাকে তো একপ্রকার অহংকার বলে। ভগবান বলেন যে “তুই অহংকার করছিস তো আমার কাছ থেকে চলে যা।' যার ‘এটা আমিই চালাচ্ছি' এরকম চালানোর অহংকার আছে সেই চিন্তা করে। যার ভগবানের উপর একটুও বিশ্বাস নেই, সেই চিন্তা করে ৷
প্রশ্নকর্তা ঃ ভগবানের উপর বিশ্বাস তো আছে ।
দাদাশ্রী : বিশ্বাস থাকলে এরকম করবেই না। ভগবানের ভরসায় ছেড়ে দিয়ে শান্তিতে ঘুমাবে। তাহলে চিন্তা আর কে করবে? এইজন্যে ভগবানের উপর ভরসা রাখো। ভগবান তোমার কিছু কিছু সামলান কি না? ভোজন করার পরে কি চিন্তা করো? পাচকরস পড়ল কি না, পিত্ত পড়লো কি না, এইসব চিন্তা করো না? এর থেকে রক্ত তৈরী হবে কি না, এর থেকে মল তৈরি হবে কি না-- এরকম চিন্তা করো? অর্থাৎ এই ভিতরে অনেক কিছু চালানোর আছে, বাইরে কি চালানোর আছে যে চিন্তা করো? তাহলে ভগবানের তো খারাপ লাগবে, না কি! অহংকার করলে চিন্তা হবে। চিন্তা করে এরকম মানুষ অহংকারী বলে। এক সপ্তাহ ভগবানকে সমর্পণ করে চিন্তা করা ছেড়ে দাও। তারপর এখানে কোন দিন ভগবানের সাক্ষাৎকার করিয়ে দেব যাতে চিন্তা বরাবরের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।
চিন্তা মানে প্রকট অগ্নি
অতএব এ সমস্ত বুঝতে হবে। লাগানোর ওষুধ খেয়ে নিলে কি অবস্থা হবে? এরা সবাই লাগানোর ওষুধ খেয়ে ফেলেছে, নইলে মানুষের চিন্তা হয় কি? হিন্দুস্থানের মানুষের কখনো চিন্তা হয়? তোমার চিন্তা করার সখ আছে ?
[ 7 ]