________________
স্বয়ং-ই চিন্তাকে নিমন্ত্রণ দিয়েছো
চিন্তা করে তাও পড়শিকে দেখে। পড়শির ঘরে গাড়ি আছে আর আমার ঘরে নেই। আরে, জীবনযাপনের জন্যে কত চাই? তুমি একবার ঠিক করে নাও যে এই জিনিষ আমার দরকার। যেমন ধরো, ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার - দাবার দরকার, থাকার জন্যে ঘর দরকার, সংসার চালানোর জন্য লক্ষ্মী দরকার। তো এত তুমি পেয়েই যাবে। কিন্তু যদি পড়শির ব্যাঙ্কে দশ হাজার টাকা পড়ে থাকে তো তোমার মন খুঁতখুঁত করে। এই দুঃখ তো নিজেই ডেকে এনেছো, বোকা।
বাঁচার আধার - অহঙ্কার
ব্যাকুল তো, যখন টাকা-পয়সা অনেক আসে তখনও ব্যাকুল থাকে, চিন্তিত থাকে। এই আহমেদাবাদের মিল মালিকদের কথা যদি বলি তো তোমার মনে হবে, হে ভগবান! এরকম দশা একদিনের জন্যেও দিও না। নিষ্টি আলু যেমন উনুনে সারাদিন পোড়ে, সেইভাবে এরা পুড়তে থাকে। একমাত্র কিসের আধারে এরা বেঁচে থাকে? আমি এক শেঠজীকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, “কিসের আধারে তুমি বেঁচে আছো?' তাতে বললো, ‘এতো আমারও জানা নেই।' তখন আমি বললাম, “বলবো? আমিই তো সবথেকে বড়! ব্যস্, এই আধারে বেঁচে থাকো। অন্য কোন সুখ পাও না।
অপ্রাপ্ত-এর চিন্তা করবে না
আমেদাবাদের কোন শেঠ-এর সাথে পরিচয় হয়েছিল। উনি খাওয়ার সময় কারখানায় চলে যেতেন। আমার সাথে খেতে বসেছিলেন। তখন শেঠানী (ওনার স্ত্রী) সামনে এসে বসলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “শেঠানী-জী, আপনি কেন সামনে এসে বসলেন?' তো উনি বললেন, ‘শেঠজী ঠিকমত খান না, কখনও না।' আমি বাপারটা বুঝলাম। যখন শেঠজীকে জিজ্ঞাসা করলাম তখন বললেন, “আমার সমস্ত চিত্ত ওখানে চলে যায়।' আমি বললাম, ‘এরকম কারো না। বর্তমানে খাবার থালা এসেছে, তাকে প্রথমে অর্থাৎ প্রাপ্ত
[ ১৬ ]