________________
কুসময়ের চিন্তা সতেরাে বছর আগেই মেয়ের বিয়ের চিন্তা শুরু করে তাে মরার চিন্তা কেন করে না? তখন বলবে যে, ‘না, মরার কথা মনে করিয়ে দেবে না। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘মরার কথা মনে করতে অসুবিধা কোথায় ? তুমি কি মরবে
? তাতে বলল যে, যদি মরার কথা মনে করিয়ে দাও তাহলে আজকের সুখ চলে যাবে আর আমার আজকের সমস্ত স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে। তাহলে মেয়ের বিয়ের কথা কেন মনে করা? তাহলেও তাে তােমার স্বাদ চলে যাবে,
? আর মেয়ে নিজের বিয়ের সবকিছু নিয়েই এসেছে। মা-বাবা তাে এতে নিমিত্তমাত্র। মেয়ে নিজের বিয়ের সমস্ত সাধন নিয়েই আসে। পয়সা, ব্যঙ্কব্যালান্স সব নিয়েই এসেছে। কম বা বেশী যা খরচ হবে এগজ্যাক্টলি সবকিছু নিয়ে আসে।।
| মেয়ের চিন্তা তােমার করার দরকার নেই তুমি মেয়ের পালকমাত্র। মেয়ে নিজের জন্যে ছেলেও নিয়ে আসে। আমার তাে কাউকে বলতে যেতে হয় না | যে ছেলের জন্ম দাও, আমার মেয়ে আছে, ওর জন্যে ছেলের জন্ম দাও, এরকম বলতে যেতে হয় কি? অর্থাৎ সমস্ত কিছুই তৈরী নিয়ে আসে। তখন বাবা বলে,
এ তাে পঁচিশ বছরের হয়ে গেল, এখনও পর্যন্ত কিছু হল না। এই, সেই...। সারাদিন এই বলতে থাকে। আরে, ওখানে ছেলে সাতাশ বছরের হয়ে গেছে, কিন্তু তুমি খুঁজে পাচ্ছ না। তাে চেঁচামেচি কেন করছাে? ঘুমােও না চুপচাপ। মেয়ে নিজের সময় এবং সবকিছু সেট করেই এসেছে।
যা তােমার ক্ষমতায় নেই তার চিত্র তৈরী করাে না। আগের জন্মের দুতিনটে ছােট-ছােট মেয়ে ছিল, ছেলে ছিল, ওদের সবাইকে এত ছােট-ছােট রেখে এসেছিলে, তাে তাদের কিছু চিন্তা করাে? কেন? আর মরার সময়ে তাে খুব চিন্তা হয় না কি, ছােট মেয়ের কি হবে? কিন্তু এখানে নতুন জন্ম নেয় আর আগের জন্মের কোন চিন্তাই থাকে না। চিঠি-পত্র কিছুই নয়!! অর্থাৎ এই সমস্ত কিছু পরসত্তা, ওতে হাত দেওয়াই উচিৎ নয়। এইজন্যে যা কিছু হচ্ছে তা ‘ব্যবস্থিত’-এ থাকলে হবে, না থাকলে হবে না।
[ ২২ ]