________________
চিন্তা, এ ডিচার্জ নয় প্রশ্নকর্তা ও চিন্তা কি ডিস্টার্জ?
দাদাশীঃ চিন্তা ডিচার্জে পড়ে না, কারণ ওতে ‘কর্তা’ থাকে। যে চিন্তা চার্জরূপে ছিল, সেটা এখন ডিস্টার্জরূপে আছে, তাকে আমি সাফোকেশন বলি। কারণ ভিতরে স্পর্শ করতে দেয় না! আত্মা অহংকার থেকে আলাদা থাকে! যখন একাকার হতাে, তখন চিন্তা ছিল।
এখন যে সাফোকেশন আছে, তা চার্জ হওয়া চিন্তা। ওর ডিচার্জ হওয়ার সময়ে সাফোকেশন হয়। যেমন চার্জ হয়েছিল ক্রোধ কিন্তু আত্মা আলাদা হয়ে যাওয়াতে ডিসচার্জ হওয়ার সময়ে তা গুসা হয়ে যায়। এইভাবে যাতে যাতে আত্মা আলাদাভাবে থাকে সে সব আলাদাই। অর্থাৎ এই জ্ঞান পাওয়ার পরে চিন্তা হয়ই না, ওটা শুধুই সাফোকেশন। চিন্তাযুক্ত চেহারা বােঝা যায়। এ যা হচ্ছে তা শুধু সাফোকেশন, দমবন্ধ করা অবস্থা।
তােমাকে রাস্তা এঁকে দেওয়া হয়েছে আর তা বুঝতে তােমার ভুল হয়ে গেছে, তাে তােমার ব্যাকুলতা হবে, একে চিন্তা বলে না। একে দমবন্ধ করা অবস্থা বলে। অর্থাৎ চিন্তা হবে না। চিন্তাতে তাে চড়চড় করে রক্ত জ্বলতে থাকে!
‘ব্যবস্থিত’-এর জ্ঞান, সেখানে চিন্তা গায়েব প্রশ্নকর্তা ও ব্যবস্থিত’ যদি ঠিকমতাে বােঝা যায় তাহলে চিন্তা অথবা টেনশন কিছু থাকবে না?
দাদাশ্রী ও একটুও থাকে না। ব্যবস্থিত’ মানে সায়েন্টিফিক সারকামস্ট্যানশিয়াল এভিডেন্স। ব্যবস্থিত’কে সেই পৰ্য্যন্ত বুঝতে হবে যে অন্তিম পর্যায়ে ব্যবস্থিত’ ‘কেবলজ্ঞান’ উৎপন্ন করে আর ব্যবস্থিত বুঝলে তাে কেবলজ্ঞান ও বােঝা যাবে। এই ‘ব্যবস্থিত’ আমার এত সুন্দর আবিষ্কার! এ এক আশ্চর্য্য আবিষ্কার!!
অনন্ত জন্ম ধরে সংসার কে তৈরী করছিল ? কর্তা হয়ে বসেছিলে, তারই চিন্তা।
প্রশ্নকর্তা ঃ এই ‘জ্ঞান থেকে এখন আমার ভবিষ্যতের চিন্তা হয় না। দাদাশ্রীঃ তুমি তাে ‘এ ব্যবস্থিত’ এরকম বলে দাও! ব্যবস্থিত তুমি বুঝতে
[ ৩২ ]