________________
প্রশ্নকর্তা ঃ না। | দাদাশ্রীঃ তাে কার হাতে আছে না জেনেই অশান্তি ভােগ করলে সেটা এইরকম হয় যে টাঙ্গা চলছে, তাতে আমরা দশজন বসে আছি, দুই বড় বড় ঘােড়ার গাড়ী, চালক তাকে চালাচ্ছে আর তুমি ভিতরে বসে চীৎকার করছ, ‘অ্যাই, এইভাবে চালাও, অ্যাই, এইভাবে চালাও, তাহলে কি রকম হবে? যে চালাচ্ছে তাকে দ্যাখাে না! কে চালাচ্ছে সেটা জানলে আর চিন্তা হবে না। তুমি রাত-দিন চিন্তা করাে? কতদিন করবে? এর শেষ কোথায় আমাকে বলাে।
মেয়ে তাে নিজেরটা নিয়েই এসেছে, তুমি কি তােমারটা নিয়ে আসাে নি ? এই শেঠজীকে তুমি পেয়েছাে না পাওনি? তুমি যদি শেঠজীকে পেয়ে থাকো তাে এই মেয়ে কেন পাবে না? তুমি একটু ধৈৰ্য্য তাে রাখাে। বীতরাগ মার্গে চলছাে আর একটুও ধৈৰ্য্য না রাখলে তাে আর্তধ্যান হবে, রৌদ্রধ্যান হবে।
প্রশ্নকর্তা ও এরকম নয় কিন্তু স্বাভাবিক ভাবনা তাে হয়ই, না!
দাদাশ্রী ঃ এই স্বাভাবিক ভাবনা, একেই আর্তধ্যান আর রৌদ্রধ্যান বলে, ভিতরের আত্মাকে কষ্ট দিয়েছি আমি। আর কাউকে দুঃখ না দিয়েছাে তাে ঠিক আছে কিন্তু এ তাে আত্মাকে দুঃখ দিয়েছে।
চিন্তা থেকে অন্তরায় কর্মের বন্ধন চিন্তা করলে তাে অন্তরায় কর্ম করা হয় আর কাজ বিলম্বিত হয়। তােমাকে বলেছে যে অমুক জায়গায় ছেলে আছে, তাে তুমি চেষ্টা করাে। চিন্তা করতে ভগবান বারণ করেছেন। চিন্তা করলে তাে অধিক অন্তরায় হয় আর বীতরাগ ভগবান বলেছেন, “ভাই, তুমি যদি চিন্তা করছাে তাে তুমিই মালিক? তুমিই দুনিয়া চালাও? আর ভাবতে গেলে তাে বােঝা যায় যে নিজের মলত্যাগ করারও স্বতন্ত্র শক্তি নেই। ও তাে যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন ডাক্তার ডাকতে হয়। ততক্ষণ পর্যন্ত এই শক্তি আমারই আছে এরকম মনে হয়। কিন্তু ওই শক্তি নিজের নয়। ওই শক্তি কিসের অধীন, তা জানা প্রয়ােজন কি না?
একে কে চালায়? বােন, তুমি তাে জান, না কি? শেঠজীও জানেন কি?
[ ২৭ ]