________________
প্রকৃতির অতিথির ঠাটবাট তাে দ্যাখাে! এই দুনিয়ায় কোন জিনিষ যা সবথেকে দামী, তা বিনামূল্যেই পাওয়া যায়। এর উপর কেউ সরকারী কর লাগাতে পারে না। কোন বস্তু দামী?
প্রশ্নকর্তা ও হাওয়া, জল।
দাদাশ্রী ও হাওয়াই, জল নয়। হাওয়ার উপর সরকারী কর একেবারেই নেই, কিছুমাত্র নেই। যেখানে দেখাে সেখানে, তুমি যেখানে যাও, এনিহােয়্যার, এনি প্লেস, সেখানে তুমি তা পেয়ে যাবে। প্রকৃতি তােমাকে কতটা রক্ষা করে। তুমি প্রকৃতির অতিথি আর অতিথি হয়ে তুমি চীৎকার করাে, চিন্তা করাে। এইজন্যে প্রকৃতির এরকম মনে হয় যে আরে, আমার অতিথি হয়ে আছে কিন্তু এই মানুষটা তাে অতিথি হতেও জানে না। তখন আবার রান্নাঘরে গিয়ে বলবে, ‘কটীতে লবন বেশী দেবে। আরে, অতিথি হয়ে রান্নাঘরে ঢুকছাে। ও যেমন দেবে সেরকম খেয়ে নাও। অতিথি হয়ে তুমি কি কখনও রান্নাঘরে যাও? অর্থাৎ এই অমূল্য হাওয়া বিনা মূল্যে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে কি আসে? জল আসে। জল অল্প পয়সায় পাওয়া যায়। আর তৃতীয়স্থানে আসে খাদ্য, তাও অল্পবিস্তর পয়সায় পাওয়া যায়।
প্রশ্নকর্তা ও প্রকাশ।
দাদাশ্রী ও লাইট তাে আছেই। লাইট তাে, সূর্যনারায়ণ তােমার সেবাতেই বসে আছেন, এইভাবে সাড়ে-ছ’টায় এসে দাঁড়িয়ে পড়েন।
কোথাও ভরসাই নেই এ তাে আমাদের হিন্দুস্তানের লােকজন এত বেশী চিন্তা করে যে সূর্যনারায়ণ যদি একদিন ছুটি নেন আর বলেন কি, আর কখনও ছুটি নেব না। তাহলে দ্বিতীয় দিনই এইসব লােকেদের আশঙ্কা হবে কি কাল সূর্যনারায়ণ আসবেন কি আসবেন না? সকাল হবে নাকি হবে না। অর্থাৎ প্রকৃতির উপরও ভরসা নেই। কোন কিছুর উপর ভরসা নেই। নিজের স্ত্রী-র উপরও ভরসা নেই!
[১৫]