________________
ওনার কাছে, মূল্য কার
এক বৃদ্ধ চাচা এসেছিলেন আর আমার পায়ে পড়ে খুব কান্নাকাটি করলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “কিসের দুঃখ আপনার?’ তো বললেন, ‘আমার গহনা চুরি হয়ে গেছে, ফিরে পাচ্ছি না, এখন কবে ফিরে পাব?' তখন আমি ওনাকে বললাম, “ওই গহনা কি সঙ্গে নিয়ে যেতেন?” তো বললেন, ‘না, সঙ্গে নিয়ে যেতে পারব না। কিন্তু আমার গহনা যা চুরি হয়ে গেছে তা ফেরৎ কবে পাব?” আমি বললাম, ‘আপনার চলে যাওয়ার পরে আসবে।' গহনা গেছে তার জন্যে এত হায়, হায়, হায়। আরে যা গেছে চিন্তা তো করাই উচিৎ নয়। হয়তো আগামী দিনের, ভবিষ্যতের চিন্তা করতে পারে, সে তো আমি বুঝি যে বুদ্ধিমান লোকের চিন্তা তো হতেই পারে, কিন্তু যা চলে গেছে তারও চিন্তা? আমাদের দেশে এরকম চিন্তা হয়। ক্ষণেক আগে যা হয়েগেছে তার চিন্তা কি? যার কোন উপায় নেই তার কিসের চিন্তা? যে কোন বুদ্ধিমান-ই বুঝবে যে আর কোন উপায় নেই, তাই ওর চিন্তা ছেড়ে দেওয়া উচিৎ।
ওই চাচা কান্নাকাটি করছিলেন কিন্তু আমি দু'মিনিটে তাকে বদলে দিলাম । তখন তো ‘দাদা ভগবান কে অসীম জয়জয়কার হো' বলতে থাকলেন। আজ সকালেও রণছোড়জীর মন্দিরে দেখা হল, তখনও বলে উঠলেন, 'দাদা ভগবান ?” আমি বললাম, ‘হ্যাঁ, ওই।' আবার বললেন, ‘সারা রাত তো আপনার নামই নিয়েছি।' এনাকে তো এদিকে ফেরাতে চাইলে এদিকে ফিরবেন, এনার মধ্যে এরকম কিছু নেই।
প্রশ্নকর্তা ঃ আপনি ওনাকে কি বললেন?
দাদাশ্রী : আমি বললাম, ‘এই গহনা ফিরে আসবে তা নয়, তবে হ্যাঁ, অন্য রকমভাবে গহনা আসবে।’
প্রশ্নকর্তা : আপনাকে পেয়েছে অর্থাৎ বড় গহনা-ই পেয়ে গেছে না! দাদাশ্রী ঃ হ্যাঁ, এ তো আশ্চৰ্য্য! কিন্তু এটা উনি কিভাবে বুঝবেন? ওনার তো গহনার সামনে এর কোন মূল্যই হবে না। আরে ওনার চা খাওয়া দরকার আর আমি ওকে যদি বলি, ‘আমি আছি তো, চা-য়ের কি দরকার?' তাতে উনি বলবেন, ‘আমার চা না খেলে স্বস্তি হয় না, আপনি থাকুন আর না থঅকুন ৷” এর মূল্য কার কাছে? যার ইচ্ছা তার কাছে।
[ ১৪ ]