________________
আবার। চিন্তাও করে আর উপায়ও বের করে। আবার ওটা ঠান্ডা করে, ওকে কি বলে ?
প্রশ্নকর্তা ও এয়ারকন্ডিশন। দাদাশ্রী ঃ হ্যা, এয়ারকন্ডিশন। হিন্দুস্থানে সবই আশ্চর্য্য! প্রশ্নকর্তা ঃ এখন সব চিন্তা এয়ার কন্ডিশনেই হয়।
দাদাশ্রী ঃ হ্যা, অর্থাৎ ওরা একসাথেই হয়। এইসব চিন্তার সাথে এয়ারকন্ডিশন। আমাদের সবার এয়ারকন্ডিশনের দরকার পড়ে না।
এই আমেরিকানদের মেয়েরা সব চলে যায়। এর জন্যে ওদের খুব একটা চিন্তা হয় না, আর এখানকার লােকেদের? কারণ প্রত্যেকের ধারনা আলাদা।
| আয়ুর এক্সটেনশন পেয়েছাে?
তুমি এই পৃথিবীতে এখন দু’শাে এক বছর থাকবে তাে? এক্সটেনশন নাওনি?
প্রশ্নকর্তা ঃ এক্সটেনশন কিভাবে পাওয়া যাবে? আমার হাতে তাে কিছুই নেই, আমার তাে মনে হয় না।
দাদাশ্রীঃ কি রকম কথা বলছাে? যদি বেঁচে থাকা হাতে থাকে তাে কেউ মরবে না। যদি আয়ুর এক্সটেনশন না হয় তাে কি জন্যে চিন্তা করছাে? যা পেয়েছে সেটাই আরাম করে ভােগ কর না।।
| চিন্তাকে আমন্ত্রণ দেওয়া মনুষ্য স্বভাব চিন্তাতে তাে কাজ নষ্ট হয়। চিন্তা কাজকে শতকরা একশ’ ভাগের জায়গায় সত্তর ভাগ করে দেয়। চিন্তা কাজকে অবস্ট্রাক্ট করে (বাধা দেয়)। চিন্তা যদি হয়, তাে খুব সুন্দর পরিণাম আসে।
যেমন ধর আমি মরে যাব’ একথা সবাই জানে। কিন্তু যখন মৃত্যুর কথা মনে আসে তখন লােকে কি করে ? মনে আসলে তখন কি করে? ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। আমার কিছু হয়ে যায় যদি, এরকম মনে আসলেই ধাক্কা
[ ১৮ ]