________________
প্রশ্নকর্তা ও এরকম সমাধি আনতে চাইলেও আসে না।
দাদাশ্রী ঃ এ তাে এমনি এমনি আনতে চাইলে আসবে না। জ্ঞানীপুরুষ ঝঞ্ঝাট মিটিয়ে দেন, পূর্ণ শুদ্ধ করে দেন, তখন নিরন্তর সমাধি থাকে। চিন্তা হয় না এরকম জীবন যদি হয় তাে তাকে ভালাে বলবে না? প্রশ্নকর্তা ও সে তাে ভালােই বলবে না!
দাদাশ্রীঃ আমি চিন্তামুক্ত জীবন বানিয়ে দেব। আর তােমার চিন্তা থাকবে না। এই কালের এটা একটা মহান আশ্চর্য্য। এই কালে এরকম হয় না, কিন্তু দেখাে হয়েছে না!
‘স্বয়ং’ই পরমাত্মা, তাহলে চিন্তা কেন? কথাটা শুধু বুঝতে হবে। তুমিও পরমাত্মা, ভগবান-ই, তাহলে কেন দুশ্চিন্তা করছাে? চিন্তা কেন করছাে? এই সংসার এক মুহূর্তের জন্যেও চিন্তা করার মত নয়। এখন চিন্তা করে কোন সেফ সাইড (নিরাপত্তা) হতে পারে
, কারন যে সেফ সাইড ন্যাচারাল (স্বাভাবিক) ছিল তাতে তুমি ঝঞ্ঝাট তৈরী করেছাে। তাহলে এখন কেন চিন্তা করছাে? ঝঞ্ঝাট এলে তার সম্মুখীন হও। আর সমাধান করাে।
| প্রশ্নকর্তাঃ যদি আমি প্রতিকূলতার সম্মুখীন হই, তাকে আটকাই, প্রতিরােধ করি, তাে তাহলে অহংকার বাড়বে। | দাদাশীঃ চিন্তা করার বদলে সম্মুখীন হওয়া ভালাে। চিন্তার অহংকারের তুলনায় প্রতিরােধ করার অহংকার ছােট। ভগবান বলেছেন, যে, এই পরিস্থিতিতে সম্মুখীন হও, উপায় বার করাে কিন্তু চিন্তা করাে না।
চিন্তা যে করে তার দুটো সাজা ভগবান বলেন যে যারা চিন্তা করে তাদের দুটো শাস্তি আর যারা চিন্তা করে না তাদের একটাই শাস্তি। আঠারাে বছরের একমাত্র ছেলে মারা যায়, তারপরে যত চিন্তা করে, যত দুঃখ পায়, মাথা কোটে আর যা কিছু করে তার দুটো শান্তি। আর সেসব কিছু যদি না করে তাে তার একটাই সাজা। ছেলে
| [ ৯ ]