________________
যেত।' রাতারতি কি সই করানো যাবে? যাবে না তো? তাহলে শান্তিতে শুয়ে পড়লে তোমার কি ক্ষতি হবে?
চিন্তার মূল কারণ
মন জ্বলতে থাকে এরকম চিন্তা তো কোন কাজের নয়। এ তো শরীরের ক্ষতি করে আর যে বস্তু আমার কাছে আসতে পারত তাতে বিঘ্ন ঘটায় ৷ চিন্তা থেকেই এরকম সংযোগ তৈরী হয়ে যায়। ভাল-মন্দ অথবা এই ধরণের বিচার করা উচিৎ, কিন্তু চিন্তা কেন? একে বলা হয় ইগোইজম্ (অহংকার)। এরকম ইগোইজম্ হওয়া উচিৎ নয়। ‘আমি একজন কেউ-কেটা আর আমিই চালাচ্ছি' এর থেকে তার চিন্তা হয় আর ‘আমি থাকলে তবেই এই কেসের সমাধান হবে' এর থেকে চিন্তা হতেই থাকে। এইজন্যে ইগোইজম-এর অংশটা অপারেশন করে বাদ দেবে, আর তারপরে যে ভালমন্দের বিচার থাকে তাতে কোনও ক্ষতি নেই। ও তো রক্তে জ্বালা ধরায় না। নয়তো চিন্তা তো রক্তে জ্বলন ধরায়, মনকে জ্বালায়। চিন্তা হচ্ছে, সেই সময় বাচ্চা কিছু বলতে এলে তার উপরেও ক্রোধ করো অর্থাৎ সমস্ত দিক থেকে ক্ষতি করছে। এই অহংকার এমনই জিনিষ যে পয়সা থাক বা না থাক, কিন্তু কেউ যদি বলে যে, ‘এই চান্দুভাই আমার সব নষ্ট করেছে', তখন অপার চিন্তা আর অপার উপাধি হয়ে যায়। আর সংসার তো আমি যদি খারাপ কিছু নাও করি তাহলেও বলবে!
চিন্তার পরিণাম কি ?
এই সংসারের বাই-প্রোডাক্ট অহংকার আর তা সহজাত অহংকার । এতে সংসার সহজে চালানো যায়। ওখানে তো চিন্তার পুরো কারখানাই তৈরী করে দিয়েছে আর অহংকারকে বাড়িয়েছে আর এত বাড়িয়েছে যাতে চিন্তার কোন সীমা নেই। অহংকারকেই বাড়িয়েছে। সহজ অহংকার থেকে, নর্মাল অহংকার থেকে সংসার চলে। কিন্তু ওখানে অহংকারকে বাড়িয়ে নিয়ে তারপরে এত বয়সে চাচা বলেন ‘আমার চিন্তা হচ্ছে।' এই চিন্তার পরিণাম কি? এর পরে জানোয়ার-গতি প্রাপ্ত হবে। এইজন্যে সাবধান হয়ে যাও। এখনই সাবধান হওয়া উচিৎ। যতক্ষণ মনুষ্যযোনিতে আছ ততক্ষণ সাবধান হও, নয়তো যেখানে চিন্তা হবে সেখানে তো জানোয়ার গতির ফল পাবে।
[ ১১ ]