________________
মারা গেছে এটাই সাজা। আর যদি ঠোকাঠুকি করে মাথা ফাটায় তা অতিরিক্ত সাজা। আমি এই দুই সাজার মধ্যে কখনো পড়ি না। এইজন্যে আমি সবাইকে বলেছি যে পাঁচ হাজার টাকা পকেটমার হয়ে গেলেও ‘ব্যবস্থিত’ (অর্থাৎ সায়েন্টিফিক সারকামস্ট্যানশিয়াল এভিডেন্স) বলে এগিয়ে যাবে আর নিশ্চিন্তে ঘরে যাবে।
এই একটা সাজা আমার নিজের হিসাব, তাই চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই। সেইজন্যে, যা হয়ে গেছে তাকে ‘যা হয়েছে তাই ঠিক’ এইরকম বলো! যার চিন্তা সেই কাজ নষ্ট হয়
প্রকৃতি বলছে যে কাজ না হলে চেষ্টা করো, খুব চেষ্টা করো কিন্তু চিন্তা করো না । কারণ চিন্তা করলে ওই কাজে ধাক্কা লাগে আর যে চিন্তা করছে সেই লাগাম নিজের হাতে নিয়ে নেয়। ‘মনে করে আমিই চালাচ্ছি' এইভাবে লাগাম নিজের হাতে নেয়। এতে দোষ হয়ে যায়।
পরসত্তা-র উপযোগ করলে চিন্তা হয়। বিদেশের উপার্জন বিদেশেই থেকে যাবে। এই বাড়ি-গাড়ি, কারখানা, স্ত্রী-সন্তান সব এখানেই ছেড়ে যেতে হবে। ওই শেষ স্টেশনে তো কারোর বাপেরও কিছু চলবে না। শুধু পূণ্য আর পাপ সাথে নিয়ে যেতে দেবে। অন্য সরল ভাষায় বলি যে এখানে যে যে দোষ করেছো সেই সব ধারা সাথে যাবে। পাপের রোজগার এখানেই থাকবে আর মোকদ্দমা চলবে। তারপর দোষের ধারা অনুযায়ী নতুন শরীর প্রাপ্ত করে, নতুনভাবে রোজগার করে ঋণ শোধ করতে হবে। সেইজন্যে ভাই প্রথম থেকেই সোজা হয়ে যাও না! স্বদেশ (আত্মা)-এ তো অনেক সুখ, কিন্তু স্বদেশ তো দেখোই নি না!
পাওনা মনে আসে সেখানে...
রাত্রে সবাই বলছে, ‘এগারোটা বেজে গেছে, এখন শুয়ে পড়ো।' শীতের দিন আর তুমি মশারিতে ঢুকে পড়েছো। ঘরের সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। মশারীতে ঢুকে তোমার মনে পড়ল যে, ‘একজনের কাছে তিন হাজার টাকার বিল বাকী আছে আর সময় পুরো হয়ে গেছে। আজ সই করিয়ে রাখলে টাকাটা পাওয়া
[ ১০ ]