________________
প্রশ্নকর্তা ঃ না, শান্তি চাই।
দাদাশ্রী ও চিন্তা-কে তাে অগ্নি বলে। এরকম হবে আর সেরকম হবে। কোন কালে যখন কোন সংস্কারী মানুষ হওয়ার সৌভাগ্য হয় আর তখন চিন্তায় ডুবে থাকে, তাহলে মনুষ্যপন (পুনরায় মনুষ্যজন্ম লাভ) চলে যায়। এ কত বড় বিপদ? যদি তােমার শান্তি চাই তাে আমি তােমার চিন্তা চিরকালের জন্যে বন্ধ করে দিচ্ছি।
যখন থেকে চিন্তা বন্ধ হয় তখন থেকে বীতরাগ ভগবানের মােক্ষমার্গের শুরু। বীতরাগ ভগবানকে যখন দর্শন করবে তখন থেকেই চিন্তা বন্ধ হওয়া উচিৎ। কিন্তু দর্শন করতেও জানে না। দর্শন করা তাে জ্ঞানীপুরুষ শিখিয়ে দেন যে এইভাবে দর্শন করাে, তাহলে কাজ হবে। এই চিন্তাতে তাে আগুন জ্বলতে থাকে। মিষ্টি আলু দেখেছাে? মিষ্টি আলু আগুনে রেখে পােড়ালে যেমন হবে সেইরকমই হয়।।
জ্ঞানীর কৃপায় চিন্তা থেকে মুক্তি প্রশ্নকর্তা ও তাে চিন্তামুক্ত হওয়ার জন্যে কি করতে হবে ?
দাদাশ্রীঃ তােমার মত এই ভাইও অনেক জায়গায় গেছে কিন্তু ফল পায় নি। তখন ও কি করলাে তা ওকে জিজ্ঞাসা করাে। ওর একটাও চিন্তা আছে কি? এখন ওকে গালিগালাজ করলেও অশান্তি হবে কি? জিজ্ঞাসা করাে ওকে।
প্রশ্নকর্তা ও কিন্তু চিন্তা বন্ধ করার জন্যে আমাকে কি করতে হবে ?
দাদাশ্রীঃ ‘জ্ঞানীপুরুষ’ -এর কাছে এসে কৃপা নিয়ে যাও। তাহলে চিন্তা বন্ধ হয়ে যাবে আর সংসারও চলতে থাকবে।
চিন্তা যায় তখন থেকে সমাধি চিন্তা না হলে সত্যিই ঝাট দূর হয়। চিন্তা হয় না, ওয়রীজ (দুশ্চিন্তা) হয় না আর উপাধি (বাইরে থেকে আসা দুঃখ) তে সমাধি থাকে তাহলে বুঝবে যে সত্যিই ঝঞ্ঝাট চলে গেছে।
[ ৮ ]