________________
যেখানে চিন্তা, সেখানে অনুভূতি কোথায়?
| প্রশ্নকর্তাঃ চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে ভগবানের আশীর্বাদ চাই কি এর থেকে কবে মুক্তি পাব, এর জন্যে ভগবান, ভগবান’ করে এরই মাধ্যমে আমি আগে যেতে চাই। তবুও আমার নিজের ভেতরের ভগবানের কোন অনুভূতি হয় না।
দাদাশ্রীঃ কি করে অনুভূতি হবে? চিন্তা থাকলে অনুভূতি হয় না! চিন্তা আর অনুভূতি দুটো একসাথে হয় না। চিন্তা বন্ধ হলে অনুভূতি হবে।
প্রশ্নকর্তাঃ চিন্তা কি করে বন্ধ হবে ? দাদাশ্রী ঃ এখানে সৎসঙ্গে থাকলে। সৎসঙ্গে এসেছাে কখনাে? প্রশ্নকর্তা ও অন্য জায়গায় সৎসঙ্গে যাই।
দাদাশ্রী ঃ যে সৎসঙ্গে গেলে চিন্তা বন্ধ হয় না সেই সৎসঙ্গ ছেড়ে দেওয়া উচিৎ। নইলে সৎসঙ্গে গেলে চিন্তা বন্ধ হওয়া চাই-ই।
প্রশ্নকর্তাঃ যতক্ষণ সেখানে বসি ততক্ষণ শান্তি থাকে।
দাদাশ্রী ঃ না, ওকে শান্তি বলে না; ওতে শান্তি নেই। এরকম শান্তি তাে গল্প শুনলেও হয়ে যায়। সত্যিকারের শান্তি তাে সবসময়ের জন্যে থাকবে, চলে যাবে না। তাহলে যেখানে চিন্তা হয় সেরকম সৎসঙ্গে যাওয়াই কিসের জন্যে? সৎসঙ্গ যারা করায় তাদের বলে দেবে কি, “ভাই, আমার তাে চিন্তা হয়, সেইজন্যে আর আমি এখানে আসব না; নয়তাে এমন কিছু নিদান দাও। যাতে চিন্তা না হয়।
প্রশ্নকর্তা : অফিসে যাই, ঘরে যাই - তাও কোথাও মন লাগে না। দাদাশ্রী ঃ অফিসে তাে আমরা চাকরীর জন্যে যাই আর বেতন তাে চাই কি? ঘর-গৃহস্থী তাে চালাতে হবে, ঘর ছেড়ে দেওয়া যাবে না, চাকরীও ছাড়া যাবে না। কিন্তু যেখানে চিন্তা মেটে না শুধু সেই সৎসঙ্গ ছেড়ে দিতে হবে। নতুন কোন দ্বিতীয় সৎসঙ্গ খুঁজবে, তৃতীয় সৎসঙ্গে যাবে। সৎসঙ্গ কয়েক প্রকারের হয় পরন্তু সৎসঙ্গ থেকে চিন্তা দূর হওয়া চাই। তুমি অন্য কোন সৎসঙ্গে যাও নি ?