________________
40
জামনগর হইতে পণ্ডিত হীরালাল হংসরাজ কর্তৃক প্রকাশিত হইয়াছে ৷ বর্তমান গ্রন্থের পাদটীকায় টীকা ১। বলিয়া ইহাকে উল্লেখ করা হইয়াছে । ২নং শ্রীকমলসংযম উপাধ্যায় বিরচিত সর্বার্থসিদ্ধি নামক টীকা যাহা লক্ষ্মীচন্দ্র জৈন লাইব্রেরী হইতে প্রকাশিত। ইহা কমলসংযমী টীকা নামেও খ্যাত৷ পাদটীকায় টীকা ২। বলিয়া ইহাকে উল্লেখ করা হইয়াছে। নং বাদী বেতাল শ্রীশান্তিহরি বিরচিত শিষ্যহিত নামক টীকা। ইহাকে বৃহদ্ধ ত্তিও বলা হয় । ইহা শেঠ দেবচন্দ্র লালভাই জৈন পুস্তকোদ্ধার ফণ্ড, বোম্বাই, হইতে প্রকাশিত ৷ পাদটীকায় ইহাকে টীকা ৩। বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে ।
এই তিনটী টীকা ব্যতীত ডাক্তার জীবরাজ ঘেলাভাই দোশী, আহমদাবাদ, কর্তৃক প্রকাশিত উত্তরাধ্যয়ন সূত্রের মূল পাঠের সাহায্য নেওয়া হইয়াছে ৷ ইহাকে টীকা ৪। বলিয়া পাদটীকায় উল্লেখ করা হইয়াছে । তদ্ভিন্ন ডক্টর জে. সারপেনটিয়ার, পিএইচ. ডি. সম্পাদিত মূল পাঠটীও অবলোকন করিয়া পাঠান্তর স্থির করা হইয়াছে। মূল পাঠ স্থির করিবার জন্য প্রধানত টীকা সমূহই অবলম্বন করা হইয়াছে এবং বিভিন্ন টীকায় উল্লিখিত ভিন্ন ভিন্ন পাঠের মধ্য হইতে আমাদের বিচারানুযায়ী একটী পাঠ গ্রহণ করিয়া অন্য পাঠ পাদটীকায় পাঠান্তররূপে উল্লেখ করা হইয়াছে।
টীকার সংস্করণসমূহের মধ্যে কমলসংযমী টীকার সংস্করণটী সর্বোৎকৃষ্ট । ইহার মুদ্রণ ও টাইপ সুন্দর এবং প্রায়ই নির্ভুল বলিয়া অনেক স্থলেই মূল পাঠের জন্য ইহাকে অনুসরণ করা হইয়াছে। টীকা ১। এর মুদ্রণাদি নিকৃষ্টতর এবং ভুলও অনেক। তিনটী টীকার সাহায্য ব্যতীত কোন কোন শব্দের অর্থের জন্য ‘পাইঅসদ্দমহান্নব’ নামে প্রাকৃত অভিধানের সাহায্যও লওয়া হইয়াছে এবং তত্তৎস্থলে পা, স, ম, চিহ্ন প্রদত্ত হইয়াছে। টীকা তিনটীর মধ্যে শ্রীশান্তিসুরি বিরচিত বৃহদ্বত্তি সর্বাপেক্ষা পাণ্ডিত্যপূৰ্ণ, বৃহৎ, বিস্তৃত, বিভিন্ন অর্থ, পাঠান্তর সমন্বিত ও প্রাচীন। এই বৃহদ্ধত্তি অবলম্বন করিয়াই অন্যান্য টীকা রচিত হইয়াছে । কমলসংযমী টীকা ইহারই সংক্ষেপ। এমনকি অনেক স্থলে বৃহদ্বত্তির ভাষা যথাযথরূপে সংক্ষেপ করিয়া ইহাতে গ্রহণ করা হইয়াছে। ইহা বিস্তৃত ও নানা অর্থযুক্ত না থাকায় অনেকাংশে সরল । ইহা আরও পরবর্তী কালের এবং তাহার ভাষা অপেক্ষাক্বত সরল বলিয়া অর্থবোধের পক্ষে বিশেষ সুবিধাজনক ।
উত্তরাধ্যয়ন সূত্রে টীকাকারগণ বহু উপাখ্যান সন্নিবিষ্ট করিয়াছেন । এমন