________________
মানব ধর্ম
১৫
তার নিজের সেই সুখের প্রয়ােজন থাকলেও তা যদি অন্যকে দিয়ে দেয় তাহলে সে সুপারহিউম্যান, দেবগতিতে যায়। আর যে অর্থহীন ক্ষতি করে, নিজের কোন লাভ না থাকা সত্ত্বেও অন্যের ক্ষতি করে, সে তাে নরকগতি প্রাপ্ত হয়। আর যারা নিজের প্রাপ্য নয় এমন সুখ ভােগ করে তারা নিজের লাভের জন্যে ভােগ করছে, সেইজন্যে জানােয়ার গতি লাভ করে। যারা কোন কারণ ছাড়াই, বিনা কারণে লােকের ঘর জ্বালিয়ে দেয়, লড়াই-দাঙ্গা করে বা এই ধরণের অন্য কিছু করে তারা সব নরক গতির অধিকারী। জীবহত্যা করে অথবা পুকুরে বিষ দিয়ে রাখে, বা কুয়ােতে এইরকম কিছু ঢেলে দেয় তারা সবাই নরকের অধিকারী। সব দায়িত্ব নিজেরই। এই জগতে এক-একটা চুলেরও হিসাব পুরাে করতে হয়।
প্রকৃতির রাজ্যে একচুলও অন্যায় নেই। মানুষের মধ্যে কখনও অন্যায় হতে পারে কিন্তু প্রকৃতির ঘর একদম ন্যায়সঙ্গত। সেখানে কখনই অন্যায় হয়নি। সমস্ত ন্যায়েই থাকে আর যা হচ্ছে তাও ন্যায়ই হচ্ছে। এটা যদি কেউ জানে, বুঝতে পারে তারই নাম জ্ঞান। আর ঘটছে তাকে। “এটা খারাপ, ওটা খারাপ, এটা ভালাে, এরকম বললে তাকে ‘অজ্ঞান বলে। যা ঘটছে তা কারেক্ট’ (সঠিক)।
অধঃস্তন এর সাথে মানব ধর্ম | নিজের উপর কেউ ক্রোধ করলে তা সহ্য হয় না অথচ সারাদিন অন্যের উপর ক্রোধ করছে। আরে ! এ কিরকম বুদ্ধি ? একে মানব ধর্ম বলে না। নিজের ওপর সামান্য ক্রোধকরলেও সহ্য করতে পারেনা; আর সেই লােক সারাদিন অন্যের উপর ক্রোধ করছে, তারা ওর অধঃস্তন বলেই কি না ? অধঃস্তনকে মারা তাে খুব বড় অপরাধ। মারতে হয় তাে উপরওয়ালাকে মারাে। ভগবানকে বা উপরওয়ালেকে, কারণ এরা উপরে আছে এবং শক্তিশালী, এদের মারাে। অধঃস্তনের তাে কোন শক্তি নেই, সেইজন্য সমস্ত জীবন মারতে থাকে। আমি তাে অধঃস্তন যত দোষই করুক