________________
মানব ধর্ম।
আমার দুঃখ হয়। সেইজন্য কারাের কিছু চুরি করার সময় তােমার মনে বিচার আসা উচিৎ যে, “না, কারাের দুঃখ হবে এরকম কাজ কি করে করব ? যদি কেউ তােমার সাথে মিথ্যে বলে তাে তােমার দুঃখ হয়। তাহলে তােমারও এরকম করার আগে ভাবা উচিৎ। প্রত্যেক দেশের প্রত্যেক মানুষের গ্রেডেশন ভিন্ন ভিন্ন হয়।
মানবতা অর্থাৎ নিজের যা ভাল লাগে এরকম ব্যবহার অন্যের সাথেও করবে। এই সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাটি ভাল কিন্তু প্রত্যেক দেশের লােকেদের আলাদা আলাদা প্রয়ােজন।
তােমার নিজের জন্য যা অনুকূল নয় সেরকম উল্টো ব্যবহার অন্যের সাথে করবে না। তােমার নিজের যেরকম ব্যবহার পছন্দ হয়, সেরকম ব্যবহারই অন্যের সাথে করবে। তােমার বাড়ী আমি গেলে তুমি যদি আসুন-বসুন বলাে তাে আমার ভালাে লাগে, তেমনি আমার বাড়ী কেউ এলে তাকেও আমার ‘আসুন-বসুন’ বলা উচিৎ। এরই নাম মানব ধর্ম। তােমার বাড়ী কেউ এলে তুমি যদি তাকে আপ্যায়ণনা করাে অথচ তার কাছ থেকে আপ্যায়ণের আশা রাখাে, তাে তাকে মানবতা বলে না। তুমি কারাের বাড়ী অতিথি হয়ে গিয়ে যদি ভালাে ভােজনের আশা রাখাে তাে তােমারও বিচার করা উচিৎ যে তােমার কাছে কোন অতিথি এলে তােমাকেও ভালাে ভােজন করাতে হবে — যেরকম তুমি আশা করাে সেইরকম। এটাই মানবতা।
| নিজেকে অন্যের জায়গায় রেখে সমস্ত ব্যবহার করবে, এর নামই মানবতা। এ প্রত্যেকের জন্যে আলাদা-আলাদা হয়। হিন্দুর আলাদা, মুসলমানের আলাদা, খ্রষ্টানদের আলাদা এমনকি জৈনদের মানবতাও আলাদা হয়।
তােমার নিজের অপমান সহ্য হয় না অথচ অন্যকে অপমান করতে দক্ষ তাে একে কি করে মানবতা বলা যায় ? সেইজন্য সমস্ত বিষয়ে বিচার করে ব্যবহার করা, একেই মানবতা বলে।
সংক্ষেপে প্রত্যেকের মানবতার রীতি আলাদা। “আমি কাউকে দুঃখ দেবনা” এ মানবতার বাউণ্ডারি (সীমা) আর এই বাউণ্ডারি প্রত্যেকের