________________
মানব ধর্ম
প্রশ্নকর্তা : কিন্তু দাদাজী, লোকে তো মানব ধর্মের পরিভাষাই অন্যরকম দেয়। মানবধর্মকে একদম আলাদা ভাবেই বুঝছে।
২৮
দাদাশ্রী : হ্যাঁ, এর উপর তো কোন ভাল পুস্তক নেই। কত সন্ত পুরুষ তো এর উপরে অনেক কিছু লিখেছেন, কিন্তু লোকেরা তা সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারে না। এইজন্যে এরকম হওয়া উচিৎ যে সবকিছু যদি পুস্তকরূপে পড়ে আর বোঝে তখন মনে হবে আমরা যা কিছু মানি তা সমস্তই ভুল। এই মানবধর্মের পুস্তক রচনা করে তা স্কুলে এক বিশেষ বয়সের বাচ্চাদের (যারা বুঝতে পারবে) শেখানো উচিৎ । জাগৃতির প্রয়োজন আলাদা আর এই সাইকোলজিক্যাল এফেক্ট (মানসিক প্রভাব) আলাদা । স্কুলে যদি এরকম শেখে তো তাহলে তার মনে পড়বেই। কারোর কিছু পড়ে যাওয়া জিনিষ খুঁজে পেলেই তার মনে হবে যে ভাই, আমার যদি পড়ে যেতো তো কি হতো ? এর জন্যে অন্যের কতটা দুঃখ হচ্ছে ? ব্যস, এটাই সাইকোলজিক্যাল এফেক্ট। এতে জাগৃতির প্রয়োজন নেই। সেইজন্যে পুস্তক ছাপিয়ে সেই বই সমস্ত স্কুল-কলেজে বিশেষ বয়সের বিদ্যার্থীদের দেওয়া উচিৎ।
আর মানব ধর্ম পালন করলে (আলাদা করে) পুণ্য করার প্রয়োজন নেই। এতে তো পুণ্যই হয়। মানবধর্মের তো পুস্তক লেখা উচিৎ যে মানবধর্ম মানে কি ? এরকম পুস্তক লেখা উচিৎ যা ভবিষ্যতেও লোকেরা পড়তে পারে।
প্রশ্নকর্তা : এই ভাই খবরের কাগজে লেখা ছাপছে তো ? দাদাশ্রী : না, এতো চলবে না। এই লেখা কাগজ তো রদ্দীতে চলে যাবে। এই কারণে বই ছাপানো উচিৎ। যদি ওই বই কারোর কাছে থাকে তো তা আবার ছাপানোর জন্যে কাউকে পাওয়া যাবে । সেইজন্যে আমি বলছি যে কয়েক হাজার বই আর সমস্ত আপ্ত বাণী ছাপিয়ে বিলি করতে থাকো। এক-আধটা বই-ও যদি থেকে যায় তা পরে লোকেদের কাজে লাগবে। নয়তো বাকী সব তো রদ্দীতে চলে যাবে। এই যে সব