________________
মানব ধর্ম
মানব ধর্ম অর্থাৎ প্রত্যেক প্রসঙ্গে এই বিচার আসে যে আমার এরকম হলে কি হবে ? এই বিচার প্রথমেই যার না আসে সে মানবধর্মে নেই। কেউ যদি আমাকে গালি দেয় তো আমিও তাকে পাল্টা গালি দেওয়ার আগে যদি একথা মনে হয়, “আমার যখন এতটা দুঃখ হচ্ছে তাহলে আমি যদি একে গালি দিই তো এর কতটা দুঃখ হবে।” এইরকম করে নিবৃত্ত হতে পারলে তবেই সমাপ্তি আসবে।
২৬
এই হল মানবধর্মের প্রথম চিহ্ন। এখান থেকে মানবধর্মের শুরু। মানবধর্মের বিগিনিং (সূত্রপাত) এখান থেকেই হওয়া উচিৎ। বিগিনিংই যদি না থাকে তো সে মানবধর্ম বোঝেই নি ।
প্রশ্নকর্তা : আমার দুঃখ হয় তাই অন্যেরও দুঃখ হয়, এই যে ভাব, এই ভাব যেমন যেমন ডেভলপ করে তেমনি এর পশ্চাতে মানুষের প্রতি মানুষের একাত্মবোধ সেটাও বেশী করে ডেভলপ করে তো ?
দাদাশ্রী : সে তো হয়। সমগ্র মানবধর্মের উৎকর্ষ হয়। প্রশ্নকর্তা : হ্যাঁ, এ সহজভাবে উৎকর্ষ হতে থাকে। দাদাশ্রী : সহজভাবে হয় ৷
পাপ কমানো, সেটাই সত্যিকার মানব ধর্ম
মানব ধর্ম দ্বারা তো অনেক প্রশ্নের সমাধান হয়ে যায়, তবে মানবধর্ম লেভেল-এ (সামঞ্জস্যপূর্ণ) হওয়া চাই। লোকে যা ব্যাখ্যা করে, তাকে মানবধর্ম বলে না। অনেক লোক আছে যাদের মোক্ষের প্রয়োজন নেই, কিন্তু মানবধর্ম তো সবারই দরকার আছে। মানবধর্ম পালন করলে অনেক পাপ কম হয়ে যায়।
,
এ বোধপূর্বক হওয়া উচিৎ
প্রশ্নকর্তা : মানব ধর্মে আমাদের অন্যের প্রতি যে অপেক্ষা থাকে কি সে-ও একইরকম আচরণ করবে, তো অনেক সময়ে তা অত্যাচার হয়ে