________________
16
যা হয়েছে তাই ন্যায়
না হয় সেটাই ভগবানের ভাষা। ন্যায়-অন্যায় তো লোকভাষা ৷
চোর, চুরি করাকেই ধর্ম বলে মানে ; দানী, দান দেওয়াকেই ধর্ম বলে মানে। ও তো লোকভাষা, ভগবানের ভাষা নয়। ভগবানের কাছে এইরকম—ওইরকম কিছু নেই। ভগবানের কাছে তো এতটুকুই আছে যে ‘কোন জীবের দুঃখ না হয়- এই আমার আজ্ঞা ! '
ন্যায়-অন্যায় তো প্রকৃতিই দ্যাখে। নয়তো এই যে জগতের ন্যায়-অন্যায়, তা শত্রুদের, দোষীদেরই সাহায্য করে। বলবে, ‘বেচারা ! যেতে দাও না!' তো দোষী-ও মুক্তি পেয়ে যায়। ‘এইরকমই হয়' বলবে। কিন্তু প্রকৃতির ন্যায়, তাতে কোন উপায়ই নেই। ওতে কারোর কোন প্রভাব চলে না ৷
নিজের দোষ অন্যায় দেখায়
কেবলমাত্র নিজের দোষের কারণে সমস্ত জগৎ অনিয়মিত মনে হয়। এক মুহূর্তের জন্যেও অনিয়মিত হয়নি। একদম ন্যায়তেই থাকে। এখানকার কোর্টের ন্যায়ে পার্থক্য থাকতে পারে, তা ভুল প্রমাণিত হতে পারে। কিন্তু এই প্রকৃতির ন্যায়ে কোন পার্থক্য হয় না ।
প্রশ্নকর্তা : কোর্টের ন্যায়ও প্রকৃতির ন্যায় নয় কি ?
দাদাশ্রী : এ সমস্তই প্রকৃতি । কিন্তু কোর্টে আমার এরকম মনে হতে পারে যে এই জজসাহেব এরকম করলেন। এরকম প্রকৃতিতে লাগে না কি ? কিন্তু ওটা তো বুদ্ধির বিরোধ !
প্রশ্নকর্তা : আপনি প্রকৃতির ন্যায়ের তুলনা কম্পিউটার-এর সাথে করেছেন কিন্তু কম্পিউটার তো মেকানিক্যাল হয়।
দাদাশ্রী : বোঝানোর জন্যে এর চেয়ে ভাল উদাহরণ আর কিছু নেই সেইজন্যে আমি এই সিমিলী দিয়েছি। নয়তো কম্পিউটার তো বলার জন্যে যে যেরকম কম্পিউটারে ফীড করা হয় ঠিক সেই রকমই এতে