________________
যা হয়েছে তাই ন্যায়
হয়, আরে! এখন তাে মালিক-ই এরকম বলছে। এর থেকে তাে আমার চলে যাওয়া ভালাে।
এতে ন্যায় খুঁজো না
প্রশ্নকর্তা: বুদ্ধিকে তাে বের করতেই হবে। কেননা, ও অনেক মার খাওয়ায়।
দাদাশ্রী : এই বুদ্ধিকে বের করতে হলে বুদ্ধি তাে কিছু এমনিই চলে যাবে না। বুদ্ধি হল ‘কার্য, এর কারণ’কে বের করতে পারলে তবে এই ‘কার্য’ দূর হবে। বুদ্ধি তাে ‘কার্য, এর কারণ কি ? বাস্তবে যা হচ্ছে। তাকে ন্যায় বলতে পারলে, তখন এ চলে যেতে থাকে। জগৎ কি বলছে ? বাস্তবে যা ঘটছে তাকে মেনে নিতে হবে। আর এতে ন্যায় খুঁজতে গেলে ঝগড়া চলতেই থাকবে।
অর্থাৎ বুদ্ধি এমনি-এমনিই যায় না। বুদ্ধির যাওয়ার পথ হল এর কারণকে পুষ্টি না দেওয়া। তাহলে বুদ্ধি, এই কার্য আর হয় না।
প্রশ্নকর্তা: আপনি বললেন বুদ্ধি হল কার্য, আর এর কারণ খুঁজলে এই কার্য বন্ধ হয়ে যায়।
দাদাশ্রী : এর কারণ হল, তুমি যে ন্যায় খুঁজতে যাও, তাই ওর কারণ। ন্যায় খোঁজা বন্ধ করে দিলে বুদ্ধি চলে যায়। ন্যায় কি জন্যে খুঁজছাে ? তখন বধূ কি বলে ? ‘কিন্তু তুমি আমার শাশুড়িকে চেনাে না। আমি এসেছি তখন থেকেই এ আমাকে দুঃখ দিচ্ছে। এতে আমার কি দোষ ?
| কেউ বিনা পরিচয়ে দুঃখ দেয় কি ? এতাে হিসাবে জমা আছে। তাই তােমাকে দুঃখ দিচ্ছে। তখন বলে, কিন্তু আমি তাে ওঁর মুখও দেখিনি। আরে, তুমি এইজন্মে হয়তাে দেখােনি কিন্তু পূর্বজন্মের হিসাব কি বলছে ? এইজন্যে যা হয়েছে তাই ন্যায়।