________________
যা হয়েছে তাই ন্যায়
অপেক্ষা করে। উকিলসাহেবকে ঘরে এসে টাকা দিয়ে যায়। উকিলসাহেব পুণ্যশালী নয় কি ? নােটিশ লিখিয়ে পঞ্চাশ টাকা দিয়ে যায়! সুতরাং ন্যায় খুঁজতে যাও, সেটাই উপাধি।
প্রশ্নকর্তা: কিন্তু দাদা এমন সময় এসেছে যে কারাের ভালাে করলে সেই লাঠি মারে।
দাদাশ্রী: ওর ভালাে করলে আর ফের ওই লাঠি মারে তাে তারই নাম ন্যায়। কিন্তু মুখের ওপর এ কথা বলবে না। মুখের ওপর বলে ফেললে তাে সে আবার মনে করবে যে এ নির্লজ্জ হয়ে গেছে।
প্রশ্নকর্তা: আমি যদি কারাের সাথে একদম সােজা-সরল হয়ে চলি তবুও সেই আমাকে লাঠিপেটা করে।
দাদাশ্রী : লাঠিপেটা করে সেটাই ন্যায়। শান্তিতে থাকতে দেয় না ?
প্রশ্নকর্তা: শার্ট পরলে বলবে, শার্ট কেন পরছাে ? আর যদি টিশার্ট পরি তাে বলবে, টি-শার্ট কেন পরলে ? সেটা খুলে দিলে তখন বলবে, ‘কেন খুলে দিলে ?
দাদাশ্রী : একেই তাে আমি ন্যায় বলি ! আর এতে ন্যায় খুঁজতে গেলে তারই এই সমস্ত মার পড়ে। এইজন্যে ন্যায় খুঁজোনা। এ তাে আমি | সােজা আর সরল খোঁজ করেছি। ন্যায় খুঁজতে গিয়ে এরা সবাই মার খেয়েছে আর ফের হয়েছে তাে যা হওয়ার ছিল। শেষে তাে যা হওয়ার তাই হয়। তাহলে প্রথম থেকেই কেন না বুঝে নিই ? এ তাে শুধু অহংকারের হস্তক্ষেপ!
যা হয়েছে তাই ন্যায় ! এইজন্যে ন্যায় খুঁজতে যেও না। তােমার বাবা যদি বলেন যে, ‘তুই এইরকম, তুই ওইরকম তাে ওটা যা হয়েছে। তাই ন্যায়। তার উপরে দাবী করবে না যে আপনি কেন এরকম বললেন ? এটা অনুভবের কথা, নয় তাে শেষে ক্লান্ত হয়ে ন্যায় তাে স্বীকার করতেই হবে। লােকেরা স্বীকার করে, না কি করে না ? যদিও এরকম