________________
যা হয়েছে তাই ন্যায়
নিয়ে গেছে না ? এই যে ‘কেন এই প্রশ্ন যে করছে সেই বুদ্ধি। অন্যায় করেছে সেটাই ন্যায়। তুমি উসুল করার চেষ্টা করতে থাকবে, বলবে যে, ‘আমার পয়সার খুব দরকার আর আমার অসুবিধা আছে। তা-ও যদি না দেয় তাে ফিরে আসবে। কিন্তু ‘ও কেন দেবে না ?' বলেছাে তাে তাহলে উকিল খুঁজতে হবে। তাহলে সৎসঙ্গ ছেড়ে দিয়ে ওখানে গিয়ে বসবে। ‘যা হয়েছে তাই ন্যায়’ বললে বুদ্ধি চলে যাবে।
অন্তরে এরকম শ্রদ্ধা থাকা দরকার যে যা হচ্ছে তাই ন্যায়। তবুও ব্যবহারে তােমাকে পয়সা উসুল করতে যেতে হবে, তখন এই শ্রদ্ধার কারণে তােমার মাথা খারাপ হবে না। ওর ওপর বিরক্তি আসবে না আর ব্যাকুলতাও থাকবে না, যেন নাটক করছাে এরকমভাবে ওখানে গিয়ে বসবে। ওকে বলবে, “আমি তাে চারবার এসেছি, কিন্তু আপনার সাথে দেখা হয়নি। এইবারে হয়তাে আপনার পুণ্য অথবা আমার পুণ্যের জন্য আমাদের সাক্ষাৎকার হল।' এইরকম করে হাসতে হাসতে উসুল করবে। আর আপনি তাে ভাল আছেন, আমি এখন মহামুস্কিলে পড়েছি। তখন প্রশ্ন করে, আপনার কি মুস্কিল ?’ বলবে যে, আমার মুস্কিল তাে আমিই জানি। আপনার কাছে পয়সা না থাকলে কারাের কাছ থেকে আমাকে জোগাড় করে দিন। এইরকম কথাবার্তা বলে কাজ উদ্ধার করবে। লােক তাে অহংকারী হয়, তাই তােমার কাজ হয়ে যাবে। অহংকারী না হলে তাে কিছু হবেই না। অহংকারীর অহংকারকে একটু ওপরে তুললে সব কিছু করে দেবে। বলবে, “পাঁচ-দশ হাজার জোগাড় করে দিন। তাহলেও বলবে, “হ্যা, আমি জোগাড় করে দিচ্ছি।' মানে ঝগড়া যেন না হয়। রাগ-দ্বেষ যেন না হয়। একশােবার ঘুরলেও যদিনা দেয় তাে ক্ষতি নেই। ‘যা হয়েছে তাই ন্যায়’ বুঝে নেবে। নিরন্তর ন্যায়-ই হয়ে চলেছে! তােমার একার-ই কি উসুলী বাকী আছে ?
প্রশ্নকর্তা : না, না, সব ব্যাবসায়ীর-ই হয়।। দাদাশ্রী : জগতে কেউই মহারানীর জন্যে ফাঁসেনি, উসুলীর জন্যেই