________________
যা হয়েছে তাই ন্যায়
এমনই। এই দুনিয়াতে এক সেকেণ্ডের জন্যেও অন্যায় হয় না ; ন্যায়-ই হয়ে চলেছে। কিন্তু বুদ্ধি আমাকে বোঝায় যে একে ন্যায় কিভাবে বলতে পারো ? এইজন্যে আমি এই মূল কথা বলতে চাইছি যে প্রকৃতির জিনিষ আর বুদ্ধি থেকে তুমি আলাদা হয়ে যাও। বুদ্ধিই এতে ফাঁসায়। একবার বুঝে নেওয়ার পর আর বুদ্ধিকে মানবে না। যা হয়েছে তাই ন্যায় ৷ কোর্টের ন্যায়ে ভুল-ত্রুটি হতে পারে, উল্টোপাল্টা হয়ে যায়। কিন্তু এই ন্যায়ে কোন পার্থক্য নেই। একেবারে কেটে দেবে।
ভাগাভাগিতে কম – বেশি, সেটাই ন্যায়
একজনের বাবা মারা যাওয়ার পর পারিবারিক সমস্ত জমিজায়গা যাতে সব ভাইদেরই ভাগ ছিল তা বড় ভাইয়ের কব্জায় চলে আসে। এখন বড়ভাই যে, সে ছোটভাইদের বারবার ধমকাতে থাকে আর জমিও দেয় না। আড়াইশো বিঘা জমি ছিল, চারভাইকে পঞ্চাশ-পঞ্চাশ বিঘা করে দেওয়ার ছিল। সেখানে কেউ পঁচিশ পেল, কেউ পঞ্চাশ পেল, কেউ চল্লিশ পেল আর কারোর ভাগে মাত্র পাঁচ-ই এলো।
20
এখন এইরকম পরিস্থিতিতে কি বুঝতে হবে ? জগতের ন্যায় বলে যে বড়ভাই বদমায়েশ, মিথ্যেবাদী। প্রকৃতির ন্যায় কিন্তু বলে যে বড়ভাই কারেক্ট। যে পঞ্চাশ পাবে তাকে পঞ্চাশ দিয়েছে, যে কুড়ি পাবে তাকে কুড়ি দিয়েছে, যে চল্লিশ পাবে তাকে চল্লিশ দিয়েছে আর যে পাঁচ পাবে তাকে পাঁচ-ই দিয়েছে। বাকিটা পূর্বজন্মের অন্য হিসাবে পুরো হয়ে গেছে। তুমি কি আমার কথা বুঝতে পারছো ?
যদি ঝগড়া করতে না চাও তো প্রকৃতির নিয়মে চলো, নয়তো এই জগতে তো ঝগড়া-ই ঝগড়া। এখানে ন্যায় হতে পারে না। ন্যায় তো দেখার জন্যে যে আমার মধ্যে কোন পরিবর্তন, কোন পার্থক্য হয়েছে কি ? যদি আমি ন্যায় পাই তাহলে আমি ন্যায়ী এটা প্রমাণ হয়ে গেল৷ ন্যায় তো নিজের এক থার্মোমিটার, নয়তো ব্যবহারে ন্যায় তো হতে পারে না। ন্যায়ে