________________
যা হয়েছে তাই ন্যায়
আসা মানে মানুষ পূর্ণ হয়ে গেল। সেই পৰ্য্যন্ত ওরা তাে হয় অ্যাবাভনর্মালিটীতে থাকে নয়তাে বিলাে-নর্মালিটীতে থাকে। অর্থাৎ এই বড়ভাই যে ছােটভাইকে পুরাে ভাগ দিল না, মাত্র পাঁচ বিঘাই দিল। সেখানে | লােকেরা ন্যায় করতে যায় আর বড়ভাইকে খারাপ বলে। এখন এসমস্তই দোষ হচ্ছে। তুমি ভ্রান্তিতে আছ তাই তুমি ভ্রান্তিকেই সত্যি বলে মেনে নিচ্ছ। তাহলে তাে আর কোন উপায় রইলাে না। এই ব্যবহারকে সত্যি বলে ধরে নিয়েছে তাে মার তাে খেতেই হবে ! নয়তাে প্রকৃতির ন্যায়ে তাে কোন ভুল-ত্রুটি হয়ই না।
| এখন আমি এখানে এরকম বলি না যে তােমার এটা করা উচিৎ নয় বা ওকে এতটা করতে হবে। তা না হলে আমাকে বীতরাগী বলবে না। আমি তাে দেখতে থাকি যে পূর্বজন্মের কি হিসাব আছে !
| যদি আমাকে কেউ বলে যে আপনি ন্যায় করুন, ন্যায় করতে বলে। তাে আমি বলবাে যে ভাই, আমার ন্যায় একটু অন্য ধরণের হয় আর জগতের ন্যায় আলাদা ধরণের। প্রকৃতির ন্যায়-ই আমার ন্যায়। জগতের নিয়ন্তা যে, সে একে নিয়ন্ত্রণেই রাখে। একক্ষণের জন্যেও অন্যায় হয় না। কিন্তু লােকেদের তা অন্যায় মনে হয়। ফের তারা ন্যায় খোজে। কেন তােমাকে দুই দেয়নি, পাঁচ-ই দিয়েছে ? আরে ভাই, যা দিয়েছে তাই ন্যায়। কারণ পূর্বের এই সমস্ত হিসাব এখন সামনে এসেছে। জট পাকিয়ে আছে, হিসাব বলে। মানে ন্যায় তাে থার্মোমিটার, থার্মোমিটার দিয়ে দেখে নিতে হবে যে আমি পূর্বে ন্যায় করিনি, সেইজন্যে আমার সাথে অন্যায় হচ্ছে। এর জন্যে থার্মোমিটারের দোষ নেই। তােমার কি মনে হচ্ছে ? আমার এই কথাগুলাে কিছু হেল্প করে ?
প্রশ্নকর্তা : অনেক হেল্প করে।
দাদাশ্রী : জগতে ন্যায় খুঁজতে যেও না। যা হচ্ছে তাই ন্যায়। আমাকে দেখতে হবে যে এটা কি হচ্ছে। তখন বলে, ‘পঞ্চাশ বিঘার জায়গায় পাঁচ-বিঘা দিচ্ছে।' ভাইকে বলবে, “ঠিক আছে। এখন তুমি