________________
যা হয়েছে তাই ন্যায়
নিজের ভাব পাঠাতে থাকে। অর্থাৎ একজন্মের ভাবকর্ম পাঠানাের পরে পরের জন্মে তার পরিণাম আসে। তখন ওর বিসর্জন হয়। তা এই ‘ব্যবস্থিত শক্তির হাতেই আছে। ও তাে এজ্যাক্ট ন্যায়ই করে। যেমন ন্যায়তে আসে ঠিক তেমনই করে। বাবা নিজের ছেলেকে মেরে ফেললে তাও ন্যায়তেই হয়। তবুও তাকে ন্যায়ই বলে। প্রকৃতির ন্যায়কে তাে ন্যায়ই বলা হবে। কারণ যেমন বাপ-বেটার হিসাব ছিল তেমনভাবেই তা চুকিয়ে দিয়েছে। তা মিটে গেল। এতে হিসাবই মেটে, আর কিছু হয় না।
কোন গরীব মানুষ লটারিতে একলক্ষ টাকা জেতে, তাও ন্যায় আবার কারাের পকেটমার হলে তাও ন্যায়।
প্রকৃতির ন্যায়ের আধার কি ?
প্রশ্নকর্তা: প্রকৃতি ন্যায়ী, তার আধার কি ? ন্যায়ী বলার জন্যে তাে কোন আধার চাই, নয় কি ?
দাদাশ্রী : ও যে ন্যায়ী তা তাে কেবল তােমার জানার জন্যেই। তােমার বিশ্বাস হবে যে ও ন্যায়ী। কিন্তু বাইরের লােকজনের (অজ্ঞান অবস্থায়) কখনই বিশ্বাস হবে না প্রকৃত ন্যায়ী। ওদের তাে দৃষ্টি নেই না! (কারণ যারা আত্মজ্ঞান প্রাপ্ত করেনি, তাদের দৃষ্টি সম্যক হয়নি)। নয়তাে, আমি কি বলতে চাইছি ? আটার অল, জগৎ কি ? হ্যা ভাই, এইরকমই। একটা অণু-রও পার্থক্য হয় না এতটাই ন্যায়স্বরূপ, একদম ন্যায়ী।
প্রকৃতি দুটো বস্তু দিয়ে তৈরী। একটা স্থায়ী, সনাতন বস্তু আর দ্বিতীয় অস্থায়ী বস্তু যা অবস্থারূপে আছে। অবস্থা বদলাতে থাকে আর তা নিয়মানুসারেই বদলায়। যে ব্যক্তি দেখে সে তার সংকীর্ণ বুদ্ধি থেকে দেখে। অনেকান্ত (উদার) বুদ্ধি থেকে কেউ চিন্তাই করে না, শুধু নিজের স্বার্থ থেকেই দেখে।
কারাের একমাত্র ছেলে মারা যায়, তাও ন্যায়-ই। এতে কেউ