________________
মূর্তি। এক মেঝে ছাড়া এখানে আর কোথাও কোনো ফাঁক নেই । সবখানে পাথর কুরে মূর্তি বার করা হয়েছে, নয়ত সূক্ষ্ম কাজ । মন্দিরের গায়ে, পাথরের। থামে, থামের খিলানে, এমন কি ছাদেও । তবে এই অলঙ্করণ এলোপাথাড়ি নয়, সবটা মিলিয়ে হুসমঞ্জস । কোথাও পদ্মের ঝাড় নেমেছে ত কোথাও নৃত্যগীত হচ্ছে। এরই মধ্যে জৈন পুরাণ বা তীর্থঙ্করদের জীবন-কাহিনী পাথরের গায়ে উৎকীর্ণ। সব চেয়ে আশ্চর্য সুন্দর মণ্ডপের ছাদ । তার বর্ণনা করি এমন ভাষা নেই । ধর্ম মানুষকে · · কতখানি অনুপ্রাণিত করলে এই মহৎ সৃষ্টি সম্ভব!
মণ্ডপের ছাদে গোল করে ঘিরে ব্র্যাকেটের মতো যে ষোলটি মূর্তি রয়েছে সেগুলো জৈন পুরাণের ষোলটি বিদ্যার। এঁদের নাম : রোহিণী, প্রজ্ঞপ্তি, বজ্রশৃঙ্খলা, বজ্রাঙ্কুশা, অপ্রতিচক্রা, পুরুষদত্তা, কালী, মহাকালী, গৌরী গান্ধারী, সর্বাস্ত্রমহাজ্বালা, মানবী, বেরোট্যা, অচ্ছুপ্তা, মানসী ও মহামানসী ।
বিমল বসই মন্দিরের কাছে যে হাতীশাল রয়েছে তাও নানা কারণে উল্লেখযোগ্য। কোণারকের হাতীর কথাই সকলের জানা আছে কিন্তু এখানকার হাতীও জীবন্ত এবং প্রমাণ আকারের । হাতীর পিঠে দড়ি দিয়ে বাঁধা হাওদা ও শিকল পাথরের হলেও মনে হয় যেন সত্যিকারের। এ সব হাতীর পিঠে এককালে মূর্তি
বসানো ছিল এবং সেগুলো সমস্তই বিমল শা'র পরিবার পরিজনের। কিন্তু সেই মূর্তিগুলো এখন অপসৃত হয়েছে।
বিমল বসই মন্দিরের ঠিক গায়েই বিরধবলের মন্ত্রী দু'ভাই বস্তুপাল ও তেজপালের মন্দিরটি ভগবান অরিষ্ট নেমির এবং বিমল বসই মন্দিরের দু'শ বছর পরে নির্মিত হলেও সেই মন্দিরেরই অনুকরণে । বস্তুপাল ও তেজপালের মন্দিরটির প্রতিষ্ঠা হয় ১২৩২ খৃষ্টাব্দে। এই মন্দিরটিও বিমল বসই মন্দিরের মতো সম্পূর্ণ ই
১৬
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org