________________
যেয়ে তার ব্যক্তিত্ব ও যোগ-বিভূতিতে এমনি অভিভূত হয়ে গেলেন যে তর্ক করা ত দূরের, বেদের পরস্পর বিরােধী দু’টী বাক্য সম্বন্ধে তঁার মনে যে সংশয় ছিল সেই সংশয় ব্যক্ত করে তিনি তার কাছে তার সমাধান চাইলেন। কিন্তু আরাে আশ্চর্য, মহাবীর বেদ-বাক্যকে মিথ্যা বলে অভিহিত করলেন না কি তার নিন্দা। তিনি সেই দু’টী বাক্যের সমন্বয় করে ইন্দ্রভূতি গৌতমের সংশয়ের নিরসন করলেন। ইন্দ্রভূতি গৌতম সেই সভাতেই সশিষ্য দীক্ষা গ্রহণ করে তার শিষ্যত্ব স্বীকার করে নিলেন। এই ইন্দ্রভূতি গৌতমই তার প্রথম শিষ্য এবং প্রথম ও প্রধান গণধর। জৈন সাহিত্যে ইনিই গৌতম বা গৌতম স্বামী নামে পরিচিত। ইন্দ্রভূতি গৌতমের পর অগ্নিভূতি, বায়ুভূতি, আর্যব্যক্ত, সুধম, মণ্ডিত, মৌর্যপুত্র, অকম্পিত, অচলভ্রাতা, মেতা ও প্রভাস সশিষ্য তাঁর নিকট দীক্ষা গ্রহণ করেন। ইন্দ্রভূতি ও এই দশজন মহাবীরের প্রধান শিষ্য বা গণধর রূপে পরিচিত। | মধ্যমা পাওয়া হতে বহিগত হয়ে মহাবীর তারপর নিগ্রন্থ ধর্ম প্রচারে প্রবৃত্ত হন ও সাধু সাধ্বী শ্রাবক ও শ্ৰাবিক। ভেদে চারটি সংঘের প্রতিষ্ঠা করেন। শ্রাবক ও শ্ৰাবিকা তঁার গৃহস্থ ভক্ত ও শিষ্য। তারপর তীর্থঙ্কর জীবনের পরিশেষে নির্বাণ লাভের ঠিক আগের চাতুর্মাস্যে সেই মধ্যমা পাওয়ায় আবার ফিরে আসেন। তারপর সেই মধ্যমা পাওয়ায় রাজা হস্তীপালকের লেখশালায় ৭২ বছর বয়সে ধর্মদেশনা দিতে দিতে কার্তিকী অমাবস্যায় সূর্যোদয়ের মুখে মুখে মহাবীর নির্বাণ লাভ করেন। তার নির্বাণ সময়ে সেইখানে কাশী ও কোশলের নয়জন মল্ল ও নয়জন লিম্বী গণরাজ উপস্থিত ছিলেন। মহাবীরের তিরােধানে জ্ঞানের আলো অস্তমিত হ’ল বলে তারা সেই অন্ধকারকে আলােকিত করবার জন্য প্রদীপের আলো জ্বালিয়ে দ্রব্যের আলােক
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org