________________
যে শত্রুঞ্জয়ে এমন একটী পাথর নেই যেখানে কোনাে না কোনাে সাধু বা মুনি নির্বাণ লাভ করেন নি। শত্ৰুঞ্জয় জৈনদের কাছে যে এত পবিত্র তার কারণও এই। পবিত্ত বলেই শত্ৰুঞ্জয়ে অনেক সংখ্যক তীর্থযাত্রী এসে থাকেন। কার্তিক ও চৈত্র পূর্ণিমায় এবং অক্ষয় তৃতীয়ায় এখানে মেলা ও উৎসব হয়। সেই সময় এখানে। বহু লােকের একসঙ্গে সমাগম হয়ে থাকে।
ভগবান ঋষভদেব সম্বন্ধে এখানে দু একটা কথা বলে নিলে হয়ত তা অপ্রাসঙ্গিক হবে না। কারণ তিনি এই অবসর্পিনীর * প্রথম ধৰ্ম-প্রবর্তক বা তীর্থঙ্করই ছিলেন না, ছিলেন প্রথম কর্ম-প্রবর্তকও। সেজন্য তাকে আদিনাথ, আদিশ্বরও বলা হয়। এর আগে মানুষ লােকব্যবহার, কৃষি, বাণিজ্য কিছুই জানত না। রাজপদে অভিষিক্ত থাকা কালীন তিনিই সেগুলাে তাদের প্রথম শিক্ষা দেন। | ভগবান ঋষভ বিনীতায় (বর্তমান অযােধ্যা) জন্মগ্রহণ করেন। এর পিতার নাম ছিল নাভি, মায়ের নাম মরুদেবী। এর যখন বয়স তিন বছর, তখন একদিন ইন্দ্র একে শ্রদ্ধা জানাবার জন্য বিনীতায়। এলেন। মহাপুরুষের কাছে যেতে গেলে বা রাজ সমীপে খালি হাতে যেতে নেই, কিছু সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হয়। তাই ইন্দ্র হাতে করে একখণ্ড ইক্ষু নিয়ে এলেন। ঋষভ সেই ইক্ষু ইন্দ্রের হাত হতে গ্রহণ করেছিলেন বলে তিনি যে রাজবংশের প্রতিষ্ঠা | * জৈন শাস্ত্রে কালকে সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি এই চার ভাগে ভাগ করে অব সপিনী ও উৎসর্দিনী এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়। অবসর্পিনী অবনতির যুগ, উৎসপিনী ক্রমিক অভ্যুদয়ের। অনাদিকাল হতে অবসর্দিনীর পর উৎসর্পিনী এবং উৎসর্পিনীর পর অবসপিনী এভাবে কালচক্র প্রবর্তিত হয়ে এসেছে। এই উৎসর্পিনী ও অবসর্দিনীর ছয়টি করে অর বা বিভাগ রয়েছে। জৈন মান্যতা অনুসারে প্রত্যেক অবসর্পিনী ও উৎসর্পিনীর তৃতীয় ও চতুর্থ অরে চব্বিশ জন তীর্থঙ্কর জন্ম গ্রহণ করেন এবং পরস্পর নিরপেক্ষভাবে নিগ্রন্থ ধর্ম প্রচার করেন।
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org