Book Title: Sat Jain Tirth
Author(s): Ganesh Lalwani
Publisher: Jain Bhawan Publication

View full book text
Previous | Next

Page 40
________________ স্তম্ভযুক্ত সত্তরটি কক্ষ দিয়ে পরিবেষ্টিত। গর্ভগৃহের সম্মুখের মণ্ডপটি চতুষ্কোণ, বাইশটি অনবদ্য থামের ওপর মণ্ডপের বিমানকার ছাদ, গর্ভগৃহে প্রমাণাকার অরিষ্টনেমির কালো পাথরের মূর্তি। এই মন্দিরেই পার্শ্বনাথের একটি মূর্তি আছে যার চিবুক হতে ফেঁটায় ফেঁাটায় জল গড়িয়ে পড়ে। | অন্যান্য মন্দিরের মধ্যে ১১৭৭ খৃষ্টাব্দে নির্মিত বস্তুপাল-তেজপালের মন্দিরটি বিশেষ উল্লেখযােগ্য। বস্তুপাল-তেজপালের কথা আগেই বলা হয়েছে। আবু, শত্ৰুঞ্জয় ও গিরনারের মন্দির নির্মাণ করে তারা প্রখ্যাত হয়ে আছেন। মন্দিরটি মল্লিনাথের এবং বস্তুপালের স্ত্রী ললিতাদেবীর নামে উৎসর্গীকৃত। | মুখ্য পথ হতে খানিকটা নেমে গিয়ে রাজীমতী বা রাজুলের গুহা। গুহায় রাজীমতীর মূর্তি আছে ও নেমির চরণ চিহ্ন। প্রবেশ পথ এত সঙ্কীর্ণ যে না বসে গুহার অভ্যন্তরে প্রবেশ করা যায় না। | অামাতার মন্দির এখানকার আর একটী প্রসিদ্ধ মন্দির। সাতপুড়া হয়ে অম্বিকা শিখরে উঠে এলে তবে এই মন্দিরে আসা যায়। সাতপুড়ায় সাতটি শিলার তল দিয়ে জল প্রবাহিত হয়। তাই এই নাম। অন্য নাম গােমুখী। অমাতার মন্দিরে নববিবাহিত দম্পতিরা এসে থাকেন। বলা হয়, পার্বতী হিমালয় হতে এখানে এসে কিছুকাল বাস করেন। অনেকে একে একান্নটি শক্তিপীঠের একটী প্রধান শক্তিপীঠ বলেও অভিহিত করে থাকেন। দেবীর উদর ভাগ নাকি এখানে পতিত হয়েছিল। জৈনদের কাছেও এই মন্দির আবার পবিত্র। কারণ অম্বিকা অরিষ্টনেমিরও শাসন-দেবী ছিলেন। অম্বিকা শিখরের একটু ওপরে গােরক্ষ শিখর। নাথ সম্প্রদায়ের গুরু গােরক্ষনাথ এখানে তপস্যা করেছিলেন। এখনাে এখানে ৩১ Jain Education International For Personal & Private Use Only www.jainelibrary.org

Loading...

Page Navigation
1 ... 38 39 40 41 42 43 44 45 46 47 48 49 50 51 52 53 54 55 56 57 58 59 60 61 62 63 64 65 66 67 68 69 70 71 72 73 74