________________
জীবন ব্যবহারে সংঘাত এইভাবে সমাধান করুন আপনি ট্রেন থেকে নেমে আপনার মালপত্রের জন্য কুলি খুঁজছেন। কয়েকজন কুলি আপনার দিকে দৌড়ে এল; তাদের মধ্যে একজনকে আপনার মাল-পত্র নিতে বললেন। সে আপনার জিনিসপত্র বাইরে নিয়ে এল কিন্তু পয়সা দেওয়ার সময় আপনি তার সাথে ঝগড়া শুরু করলেন। আপনি তাকে ভয় দেখাতে লাগলেন; ‘আমি স্টেশন-মাস্টারকে ডাকছি, তােমার এত টাকা | চাওয়ার সাহস হয় কি করে ? কিন্তু এটা বােকামি! এই সামান্য ব্যাপারে বাদবিসম্বাদ-এ জড়িয়ে পড়া উচিৎ নয়। যদি সে পঁচিশ টাকা চায় তাহলে আপনার তাকে ভালভাবে বােঝানাে উচিৎ, দ্যাখাে ভাই, এ আসলে দশটাকার কাজ, কিন্তু যাই হােক তুমি কুড়িটাকা নিয়ে খুশী হয়ে যাও। আপনার বােঝা উচিৎ সে আপনাকে এত সহজে ছাড়বে না তাই একটু বেশী দিয়েও ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলা দরকার। এটা সংঘর্ষ তৈরির জায়গা নয়। তার মেজাজ বেশি খারাপ করে দিলে সে কি করে বসবে তা আপনার জানা নেই। সে হয়তাে বাড়ী। থেকেই খারাপ মেজাজ নিয়ে বেরিয়েছে তার ওপর আপনি যদি তা আরও বাড়িয়ে দেন তাহলে সে আপনাকে ছুরিও মারতে পারে। একশাে’য় তেত্রিশ পেয়ে মানুষ রয়েছে, বত্রিশ পেলেই তাে ষাঁড় হয়ে যায়।
যখন কেউ আপনার সাথে কর্কশ ভাষায় কথা বলে বা গালিগালাজ করতে থাকে তখন আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে এবং তার সাথে সংঘাত এড়াতে হবে। শুরুতে এই বাদানুবাদ আপনার মনে কোন ছাপ না ফেললেও পরে আপনার খারাপ লাগবে এবং আপনার মনে তার প্রভাব পড়বে। আপনাকে বুঝতে হবে যে এই ব্যক্তি আপনার মনের উপর প্রভাব ফেলছে এবং আপনাকে তার রাস্তা থেকে সরে যেতে হবে। যেমন-যেমন আপনার বােধশক্তি বাড়বে। তেমন-তেমনই আপনি সংঘাত এড়াতে সক্ষম হবেন। সংঘাত এড়াতে পারলেই মুক্তি সম্ভব।
এই জগৎ নিজেই এক বিশাল সংঘাত। এই সংঘাত তরঙ্গরূপে। সেইজন্যে সংঘাত এড়ান। জগৎ সৃষ্টি হয়েছে সংঘাত দ্বারা এবং স্থায়িত্ব পাচ্ছে প্রতিহিংসা দ্বারা। প্রত্যেক ব্যক্তি এমনকি প্রত্যেক জীব প্রতিহিংসার ভাবনা করতে সক্ষম। সংঘাত অত্যধিক হলে প্রতিশােধ না নিয়ে কেউ আপনাকে ছাড়বে না। সে
| [ ৯ ]