________________
দাদাশ্রীঃ হ্যা, সমাধান দরকার যারা এই জ্ঞান পেয়েছে তারা সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধানে পৌঁছায় কিন্তু তারা কি করে যাদের এই জ্ঞান নেই? তাদের কাছে কি সমাধান আছে? তারা একে অন্যের থেকে আলাদা হয়ে যায়। যাদের এই জ্ঞান আছে তারা পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয় না।
প্রশ্নকর্তা ঃ কিন্তু দাদা, কারাের সংঘাতে জড়ানাে উচিৎ নয়।
দাদাশ্রী ও সংঘাত হয়,, সে তাে স্বভাবের কারণে। সেরকম ‘মাল’ ভর্তি করে এনেছে, তাই এরকম হচ্ছে। যদি সেরকম মাল না থাকত তাহলে এমন হতাে না। সুতরাং আমাদের বুঝে নিতে হবে যে লােকের স্বভাব-ই এইরকম। এইরকম বুঝে নিলে আমাদের উপর কোন প্রভাব পড়বে না। কারণ স্বভাব তাে স্বভাব (অর্থাৎ পূর্বর্সঞ্চিত সংস্কার) যার আছে তার, আর আমরা নিজস্বভাব (শুদ্ধাত্মা)! তাহলেই নিকাল হয়ে যায় (মিটে যায়)। আপনি আটকে থাকলে ঝাট বাড়ে। আর সংঘাত তাে হয়, সংঘাত হবে না এমন হয় না। কিন্তু তার জন্যে একে অপরের থেকে পৃথক না হয়ে যাই সেটাই দেখতে হবে। সে তাে পতি-পত্নীর মধ্যেও হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা একসাথেই থাকে না কি? সে তাে হয়-ই। এখানে তাে কেউ অন্যজনকে ‘সংঘাত করাে না’ বলে চাপ দেয়। নি।
প্রশ্নকর্তা ঃ কিন্তু দাদা, আমাদের সবসময় সংঘর্ষ এড়িয়ে চলার মানসিকতা রাখা উচিৎ নয় কি? | দাদাশ্রীঃ হ্যা, সেটা সবসময় থাকা দরকার। সেটাই আপনাকে করতে হবে। আপনাকে প্রতিক্রমণ করতে হবে এবং প্রতিপক্ষের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনােভাব রাখতে হবে। কোন একটি বিশেষ কর্মের ঘন আবরনের কারণে সংঘাত বারবার হতে থাকে এবং প্রত্যেকবার প্রতিক্রমণের পরে একটা করে স্তর কমে যায়। আমার ক্ষেত্রে, যখনই সংঘর্ষ হত, তখনই আমি মনে মনে টুকে রাখতাম যে কিছু মূল্যবান লাভ হলাে কারন এটা আমার জাগৃতিতে সাহায্য করতাে। সংঘাত আপনাকে পতন থেকে রক্ষা করবে এবং আপনার দৃষ্টি আত্মার প্রতি রাখবে। সেইজন্য সংঘাত আত্মার ভিটামিন। সংঘাত নিজে কোন সমস্যা নয়। মূল কথা হলাে সংঘাতের সময় সতর্ক থাকতে হবে যে অন্যজনের সাথে দূরত্ব তৈরী না হয়। এটাই আধ্যাত্মিক প্রচেষ্টার সার। যদি আপনি
[ ২৩ ]